কলকাতা ব্যুরো: দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ফের উঠে এলো তিস্তার জলবণ্টন প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রী ও বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকে যদিও এই আলোচনার কোনো চূড়ান্ত ফয়সালা হয়নি। আগামী ডিসেম্বর মাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই অন্তত সাতটি নদীর জল বন্টন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
যদিও তিস্তার জল বাংলাদেশকে দেওয়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার আগে আলোচনা হবে বলে ধরে নিচ্ছে কূটনৈতিক মহল। এর আগেও তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছে কেন্দ্র। তখন তা বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু এবারেও বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিতে গেলে এ রাজ্যের সবুজ সংকেত পাওয়া জরুরি।
মঙ্গলবার দু’দেশের মধ্যে বৈঠক রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। ভারত এ ব্যাপারে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেবে বলেও আশা করে বাংলাদেশ। তবে এই দিনের বৈঠকে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘটনা তুলে ধরে। যেভাবে হঠাৎ করে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করা হয়েছিল, তাতে সমস্যা বেড়েছে। আগামী দিনে কোন কিছুরই এমনভাবে রপ্তানি বন্ধ করলে তাদের আরও বিপাকে পড়তে হবে বলে জানায় ঢাকা। বাংলাদেশ থেকে এ দেশে মধ্যে বেশকিছু আমদানি -রপ্তানির ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বের স্থলবন্দর গুলোকে আরো বেশি সক্রিয় করার প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকে আবার ভারতের আর্থিক সহায়তায় সে দেশে বিদ্যুৎ প্রকল্প, রাস্তা পরিকাঠামোগত বেশকিছু কাজ চলছে, তার অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয় জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের ভার্চুয়াল বৈঠকে।