কলকাতা ব্যুরো: হাথ্রাস জেলায় নৃশংস গণধর্ষণের পর তরু নীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ নিজেই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার পর রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের নিয়েই তদন্তের জন্য সিট গঠন করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। তিন সদস্যের সিটে স্বরাষ্ট্র সচিব ছাড়াও ডিজি ও এক মহিলা আইপিএসকে রাখা হয়েছে। তারা সাত দিনের মধ্যে প্রথম দফার রিপোর্ট পেশ করবেন সরকারকে।
সোমবার দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি করার পর মঙ্গলবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। গণধর্ষণের প্রমাণ ছাড়াও তার দেহে নৃশংসভাবে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। তার জিভ কাটা ছিল। চার দুষ্কৃতী তাকে সবদিক দিয়েই নৃশংসভাবে অত্যাচার করেছে বলে স্পষ্ট। মঙ্গলবার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যুর পর সেখানে প্রবল বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দলিত মেয়ের এমন মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের ক্ষোভে পড়তে হই সরকারকে।
কিন্তু রাতেই পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে তার গ্রামে পৌঁছে তখনই দাহ করার জন্য চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ পরিবারের। তারা সকাল পর্যন্ত দেহ রাখার দাবি জানালেও রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ মৃতদেহ জোর করে পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সে সময় মৃতার আত্মীয়-পরিজন ঘরের মধ্যেই ছিলেন। একদিকে গোটা ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যেমন ক্ষোভ বাড়ছে, তেমনই ক্ষোভ তীব্র হচ্ছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। এখানে পুলিশের আচার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সব মহলে তাই বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতেই কি উত্তরপ্রদেশ সরকার তড়িঘড়ি সিট গঠন করল সে প্রশ্নই উঠছে।