কলকাতা ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে অস্বস্তি বাড়ল অনুব্রত মণ্ডলের। মঙ্গলবার বীরভূমের ‘কেষ্ট’দার রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ করে দিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ অর্থাৎ এবার সিবিআই তলব করলে হাজিরা দিতেই হবে অনুব্রতকে।
গরু পাচার মামলায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সিবিআই প্রথম তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তবে সেদিনও হাজিরা এড়িয়ে যান ‘কেষ্টদা।’ পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। ওইদিন তিনি রুটিন চেক আপের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। ফলে নিজাম প্যালেসে তিনি যাননি।
এরপর গত ৪ মার্চ ফের অনুব্রতকে নোটিস পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। ১৫ মার্চ তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরই মাঝে সিঙ্গল বেঞ্চে রক্ষাকবচের আবেদন করেন অনুব্রত। ১১ মার্চ অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আরজি খারিজ করে দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ।
সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই মামলায় এখনই আদালতের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হওয়ার আরজি খারিজ করেছিল আদালত। কারণ, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুব্রত সিবিআই হাজিরা এড়ালেও বিভিন্ন জায়গায় যেতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর ১৪ মার্চ সিঙ্গল বেঞ্চের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান অনুব্রত মণ্ডল। ১৬ মার্চ শেষ হয় শুনানি। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার সিদ্ধান্ত জানাল ডিভিশন বেঞ্চ।
ডিভিশন বেঞ্চেও খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আরজি অর্থাৎ সিবিআই এরপর তলব করলে হাজিরা দিতেই হবে অনুব্রতকে। যদিও ডিভিশন বেঞ্চের সিদ্ধান্তকে তৃণমূল নেতা চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যাবেন কি না, তা জানা যায়নি।