কলকাতা ব্যুরো: প্রায় ১৯ মাস বন্ধ থাকার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে খুলে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। ফলে সোমবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির ছবি ধরা পড়ল স্কুলগুলিতে। শহর হোক বা গ্রাম প্রতিটি স্কুলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে সংস্কারের কাজ।
এই দেড় বছরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্কুলগুলি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। আমফান, ইয়াসের মতো একাধিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, ক্যানিং, রায়দিঘি-সহ উপকূলবর্তী এলাকার বহু স্কুল। একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কোনও স্কুলের উড়ে গিয়েছে ছাদ, কোথাও আবার স্কুলের জানলা-দরজার বেহাল দশা। কোথাও স্কুলের সামনে জমেছে আগাছার জঙ্গল। ফলে বেশিরভাগ স্কুলেই কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্কুল মেরামতের কাজ।
করোনা মহামারিকালে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছিল অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবারও স্কুল খোলায় খুশি ছাত্রছাত্রীরা থেকে অভিভাবকরা। ফলে সপ্তাহের শুরুতেই চরম ব্যস্ততার ছবি ধরা পড়ল স্কুলগুলিতে। বেশিরভার স্কুলেই সংস্কারের কাজে হাত লাগিয়েছে পড়ুয়ারাও। স্কুলের ক্লাসরুম থেকে স্কুল-প্রাঙ্গণ, গোটা অংশ জুড়েই চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ। স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে প্রতিটি বেঞ্চে দু’জন করে ছাত্র-ছাত্রী বসতে পারবে। বেঞ্চের উপর স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চকের দাগ দিয়ে বসার জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
স্কুল শুরুর অন্তত আধঘণ্টা আগে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে পৌঁছতে হবে। নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস বসবে বেলা ১১টার সময়। চলবে বিকেল চারটে পর্যন্ত। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রতিটি ক্লাসকে দুই থেকে তিনটি ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রায় ১৯ মাস পর ফিরছে স্কুলড্রেস-ব্যাগ-টিফিন বাক্সের দিন। অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা হলেও , স্কুলের সেই পরিবেশ পাওয়া যায় না। স্কুল খুলবে ঘোষণা হতেই বেজায় খুশি পড়ুয়ারা।