কলকাতা ব্যুরো: আলিয়া-কাণ্ড নিয়ে এ বার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন তিনি। পাশাপাশি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে আলিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই, বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গ তুলে আনলেন মমতা। কেন্দ্রের অধীনে থাকা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কেন গ্রেফতার করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা এদিন সাফ জানান, ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্বভারতীর ক্ষেত্রে কেন্দ্র কেন কোনও পদক্ষেপ করছে না, পাল্টা সেই প্রশ্নই ছুড়ে দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বভারতীতে যা হচ্ছে দেখুন। সেখানে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করলো না কেন? কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে? ভিসি-কে গ্রেফতার করা হয়েছে?
এর আগেও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপাচার্যকে ‘বিজেপির লোক’ বলেও একসময় মন্তব্য করেছেন তিনি। আর এবার সরাসরি তাঁর গ্রেফতারির কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। তিনি বললেন, ভদ্রলোক যা করছেন, সেখানে কোনও অ্যাকশন নেওয়া হল না কেন? উল্লেখ্য, রবিবারই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে।
এ ছাড়াও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা উল্লেখ করেন, একটা বিশেষ অংশের পড়ুয়ারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁরা প্রত্যেকেই ভাল। তবে তাঁদেরও কোনও দাবি থাকতে পারে বলেই মনে করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কটু কথা বলার জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। এই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি সরকারকে নিশানা করে মমতা বলেন, শুধু বাংলারটাই আপনারা দেখেন। কী ভাবে বাংলাকে অসম্মানিত করা যায়, সেটা দেখেন।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিগ্রহের ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গিয়াসুদ্দিন আলিয়ার প্রাক্তন ছাত্রনেতা। উপাচার্যকে নিগ্রহের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর রবিবার গিয়াসুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসত আদালত। এদিন আদালত কক্ষে দুই আইনজীবীর সওয়াল-জবাব চলে প্রায় ২৫ মিনিট।