কলকাতা ব্যুরো: শুক্রবার সকালে শিলিগুড়িতে একটি ট্রাক আটকে তার থেকে প্রায় সাড়ে ৩৩ কেজি চোরাই সোনা উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীন ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। সোনার বাজার মূল্য ১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সাম্প্রতিককালে এটাই সবচেয়ে বড় সোনা বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা। সংবাদমাধ্যমকে ডি আর আই জানিয়েছে, ভারত- মায়ানমার সীমান্তের মনিপুর থেকে একটি ট্রাকে প্রচুর চোরাই সোনা এদেশে পাচার করা হয়েছে বলে তাদের কাছে খবর ছিল। সেই ট্রাক গুয়াহাটি থেকে শিলিগুড়ি হয়ে রাজস্থানের দিকে যাওয়ার সময় শ্রী গঙ্গানগর তা হস্তান্তরের কথা জানতে পারে ডিয়ার ডি আর আই গোয়েন্দারা।
সেই অনুযায়ী এদিন সকাল আটটা নাগাদ শিলিগুড়িতে ট্রাকটিকে আটক করা হয়। ট্রাকে চারজন ছিলেন। যাদের সকলেই রাজস্থানের বাসিন্দা। তারা দাবি করেন, গৌহাটি থেকে মালপত্র নিয়ে রাজস্থান ফিরছেন। কিন্তু তাদের লাগাতার জেরার পর একসময় ভেঙে পড়ে অভিযুক্তরা। ট্রাকে থাকা তাদের ব্যক্তিগত লাগেজ এর মধ্যেই থেকে উদ্ধার হয় ২০২ টি সোনার বিস্কুট। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বর্তমান আর্থিক বছরে এ রাজ্য এবং সিকিম থেকে তিনশ কেজি চোরাই সোনা উদ্ধার করেছে ডি আর আই। যার বাজারমূল্য ১১৫ কোটি টাকা। আর বর্তমান আর্থিক বছরের প্রথম ছয় মাসে এখনো পর্যন্ত ৯৮ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে ডি আরআই। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫২ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ডি আর আই সবচেয়ে বড় অভিযান চালিয়ে ৬৬ কেজি চোরাই সোনা উদ্ধার করেছিল। এ রাজ্যে ভুটান থেকে ঢোকার সময় একদিকে লখনৌ এর কাছে একটি ট্রাকে ৩৩ কেজি সোনা উদ্ধার হয়। এবং পরে শিলিগুড়ির কাছে আরও একটি গাড়িতে বাকি ৩৩ কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছিল। সবমিলিয়ে যার পরিমাণ প্রায় ২২ কোটি টাকা। মূলত নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, চিন ও বাংলাদেশ থেকে চোরাই সোনা এ দেশে পাঠানোর জন্য একটি আন্তর্জাতিক চক্র দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে।