কলকাতা ব্যুরো: বিজেপি কর্মীদের চমকানোর নিদান দিয়ে বিপাকে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক। নির্বাচন কমিশনের শাস্তির মুখে পড়লেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। আগামী ৭ দিন কোনওভাবেই উপনির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। তবে ঠিক কী কারণে শাস্তির মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক মাইক হাতে বলছেন, যারা কট্টর বিজেপি, যাদেরকে হারানো যাবে না, তাঁদেরকে চমকাতে হবে। বলবে, আপনি যদি ভোট দিতে যান, আমরা ধরে নেব বিজেপিতে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন। সেটা আপনার নিজের রিস্ক। আর যদি ভোট দিতে না যান, আমরা ধরে নেব আপনি আমাদের সমর্থন করছেন। আপনি ভালভাবে থাকুন। চাকরি করুন। ব্যবসা করুন। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।
পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের এই মন্তব্যকে ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকে তোলপাড় হয় গোটা বাংলা। বিধায়কের শাস্তির দাবি করে বিজেপি। কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তাঁরা। এরপরই কমিশনের শাস্তির মুখে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। কমিশনের তরফে আগামী ৭ দিনের জন্য নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বুধবার অর্থাৎ ৩০ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে ৬ এপ্রিল রাত ৮ টা পর্যন্ত উপনির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না বিধায়ক।
নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, ভোট নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে পারবেন না। কমিশনের নির্দেশ পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। উল্লেখ্য, আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে ইতিমধ্যেই ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও বিজেপি প্রার্থী ২০০ থেকে ২৫০ কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছেন। তাঁদের তরফে বারংবার বলা হচ্ছে, ভোটাররা নিজের ভোট নিজে দিতে পারলেই বিজেপির জয় নিশ্চিত। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের এহেন মন্তব্যে আবারও রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াল আসানসোলে।