কলকাতা ব্যুরো: এবার দুর্গা পুজো নিয়ে হাইকোর্ট ঐতিহাসিক রায় দেওয়ার পর তা নিয়ে খুশি রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষ। যদিও এবার মন্ডপ দর্শকশূন্য করতে হাইকোর্টের দেওয়া নো এন্ট্রি’ বোর্ড ঝোলানোর রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে হাইকোর্ট রায় দেওয়ার পরেই সরকারি আইনজীবীরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট গেলে যদি সুবিধা হয় সেক্ষেত্রে আলোচনা সাপেক্ষে সেই রাস্তায় হাঁটার ব্যাপারে নবান্ন সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর।
যদিও নাগরিকদের একটা বড় অংশই হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশে খুশি। গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে পুজোর বাজারে ভিড় হামলে পড়েছে, তা নিয়ে আতঙ্কিত চিকিৎসক মহল। ইতিমধ্যেই রাজ্যের চিকিৎসকদের একটি দল সরকারকে এ ব্যাপারে সর্তক করে চিঠি দিয়েছিল। পুজোয় যদি ভিড় বাড়ে, সে ক্ষেত্রে পুজোর পরে সংক্রমণ ভয়াবহ চেহারা নেবে বলেও তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
এদিন মামলার শুনানিতেও সেই ভিড়ের প্রসঙ্গ টেনে এনেছে হাইকোর্ট বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চে র বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমে যে ভিড়ের ছবি দেখা যাচ্ছে, তা যথেষ্টই উদ্বেগের। এভাবে মানুষকে ভিড় করতে দিলে করোনা সংক্রমণ বাড়বে। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্ট টেনে এনেছে মুম্বাই গণেশ চতুর্থীতে শোভাযাত্রা করতে না দেওয়ার প্রসঙ্গ। হাইকোর্ট বলেছে, মুম্বাইয়ে গণেশ চতুর্থীর শোভাযাত্রার অনুমোদন না হওয়ায় সেখানে সংক্রমণ বাড়েনি। কিন্তু পুনেতে সেই শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়ায় কিভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে তা সকলেরই জানা।
বারোয়ারি পুজো বন্ধ করতে এই মামলার অন্যতম আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা কারও বিরুদ্ধে এই মামলা করিনি। শুধুমাত্র বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে যাতে মৃত্যুর মিছিল না হয়, আমরা শুধু তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলাম। মামলা প্রসঙ্গে এবং রায় নিয়ে আইনজীবী সব্যসাচী কি বললেন শুনে নিন তার মুখ থেকে।