কলকাতা ব্যুরো : শারদ উৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর এই উৎসব আর শারদ সম্মানকে ঘিরে কত যে গল্প ছড়িয়ে আছে তা আমাদের অনেকেরই অজানা। এশিয়ান পেইন্টস শারদ সন্মান দেয়। আমরা এ কথা সবাই জানি। কিন্তু অনেকেই হয়তো প্রত্যয় শারদ সন্মানের কথা জানি না। ২০০৪ থেকে প্রত্যয় যাদবপুর শারদ সম্মান দিয়ে আসছে। এ ছাড়াও প্রত্যয় যাদবপুরের অনেক সামাজিক এবং গঠনমূলক কাজকর্মর সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে।
সবার সেরা, প্রতিমা, সেরা আবিষ্কার, মণ্ডপ ইত্যাদির ওপর প্রত্যয় যাদবপুর বহু বছর ধরে পুরস্কার দেয়। কিন্তু এবার করোনা মহামারির কথা ভাবে এর সঙ্গে আরও দুটি পুরস্কার যোগ করেছে প্রত্যয়। এই পুরস্কারের নাম – ” ছোটো বাজেটের বড় পূজো – উত্তর , দক্ষিণ। ” অর্থাৎ একটি পুরষ্কার উত্তর কলকাতার জন্য বরাদ্দ , অন্যটি দক্ষিণ কলকাতার। ওখানকার সদস্যের ও কান্ডারী উদয় সিংহ রায় জানালেন, ” সব পুজোর বাজেট এবারে কমে গেছে। মানুষের হাতে করোনা অতিমারির ফলে টাকা নেই। সেই কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। এবারে ছোটো বাজেটের মধ্যে যারা পূজো করবেন তাদের জন্য এই পুরষ্কার।”
এছাড়া অন্যান্য পুরষ্কার তো থাকছেই। মোট ৩৫০ ক্লাব এই পুরস্কারের জন্য প্রতি বছর নাম নথিভুক্ত করে। এর মধ্যে ২৫০ পূজো বাছাই করে পুরস্কার দেয় প্রত্যয়। এর আগের বার সেরা পুজোর সন্মান পেয়েছে টালা পার্ক প্রত্যয়। সেরা প্রতিমার পুরস্কার গিয়েছিল রাজডাঙা নব উদয় সংঘের ঘরে। সেরা আলোর পুরস্কার পায় দমদম পার্ক তরুণ সংঘ ও ২৫ পল্লী। সেরা আবিষ্কার ছিল সমাজসেবী সংঘ, সন্ধানী এবং হরিদেবপুর আদর্শ সমিতি। সেরা মণ্ডপের পুরষ্কার তুলে নেয় নাকতলা উদয়ন সংঘ ও বেহালা ক্লাব।
শুধু পুরস্কার নয়, সমাজসেবামূলক কাজেও পিছিয়ে নেই প্রত্যয়। প্রায় ২৫০ জনের বিনা অর্থে ছানি অপারেশন, বিনা অর্থে ইসিজি ইত্যাদি সারা বছর ধরে করে যাদবপুর প্রত্যয়। এছাড়াও ২ টি আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বাচ্চার সারা বছরের পড়াশুনাও চালায় এরা।