কলকাতা ব্যুরো : পাওলি দাম থেকে সৌরভ গাঙ্গুলি, সবাই এসেছেন বেহালার ২৯ পল্লীর পূজো দেখতে। শুধু ঐ অঞ্চলে নয় সারা কলকাতায় জনপ্রিয় এই পূজো। এবারে ১৮ বছরে পড়লেও এই কয়েক বছরেই খ্যাতির শীর্ষে বেহালার এই পূজো। পুজোর মধ্যেও একটা শৈল্পিক ছোয়া আছে এখানে। সাধারণ কারিগর যেমন কাজ করে আর্ট কলেজের তরুণ তুর্কিরাও পুজোর মণ্ডপ সজ্জায় হাত লাগিয়েছে বরাবরের মতো এবারও।
আগের বারের ১২ লাখের বাজেট অর্ধেকেরও কম এবার। তাতে কি ? দাম কমলেও শিল্পীদের চেতনা আর মননে এবারও নতুনত্বের ছোঁয়া রেখে যাবে ২৯ পল্লী। এমনই আশা পূজো উদ্যোক্তাদের। আর্ট কলেজের ছাত্রী এবং বাংলা টিভি চ্যানেলের জনপ্রিয় সিরিয়ালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সব হাত লাগিয়েছেন মণ্ডপ আর থিম ভাবনায়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সংবাদপত্রের সহযোগিতাও আছে, জানালেন অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সৌরভ ঘোষ। সিঁদুর খেলা ওই সংবাদপত্রের সহযোগিতায় হয় প্রতি বছর। এখানে সিঁদুর খেলায় ” নো কন্ডিশনস অ্যাপ্লাই “। যুবতী, সধবা এমনকি বিধবারা মিলে একসঙ্গে সিঁদুর খেলার রেওয়াজ এখানে। একবছর তো বৃদ্ধাশ্রম থেকে মাদের ও আনা হয়েছিলো পূজো উদ্ভোধন করাতে।
এ বছরও অনেক আশা আর স্বপ্নের জাল বুনছেন উদ্যোক্তারা। এবারের থিম তাই ” বাঁধা পেরিয়ে বোধন”। এক কথায়, ঘরে ফেরা। প্রকৃতির জীব যেমন দিন শেষে ঘরে ফেরে সে রকম পরিযায়ী থেকে প্রবাসীরাও পুজোয় ঘরে ফিরবেন মায়ের কাছে। এ একেবারে “মিলন হবে কত দিনে” র প্রস্তুতি চলছে যেন। আগেরবারের মত এবারেও প্রতিমা শিল্পী থাকছেন সৈকত বসু। কম বাজেটে স্বপ্ন আর মিলনের যুগলবন্দী কেমন হয় তাই দেখার অপেক্ষায় সবাই।