মৌলি মৈত্র
ফিডল লিফ ফিগ গাছটি খুঁতখুঁতে এবং ফ্যসি গাছেদের মধ্যে অন্যতম। এটি ভারতবর্ষের একটি জনপ্রিয় গাছ, যা ৫০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। ফিকাস ( চালু উদাহরণ বট জাতীয় গাছ) গোষ্ঠীর এই গাছটি মূলত পশ্চিম আফ্রিকার স্থানীয় গাছ।
ব্রিটিশ রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটির তরফে পুরস্কার প্রাপ্ত এই গাছটি সকালের উজ্জ্বল আলো প্রত্যক্ষ ভাবে গ্রহণ করতে পারলেও, সূর্য রশ্মি সরাসরি সহ্য করতে পারে না। তাই ঘরের মধ্যে রোদ স্পষ্ট স্থানে এই গাছগুলিকে রাখলেও, সূর্য রশ্মি যাতে না-পড়ে সে ব্যাপারে নজর রাখতে হবে। এমনকি দুপুরের কড়া রোদও এদের পক্ষে অসহনীয়।
ফিডল লিফ ফিগ গাছের মাটির জল নিষ্কাষণের ক্ষমতা অধিক হওয়া জরুরি বলে, কম্পোসিট কোকোপিট ও বাগানের মাটির সঙ্গে বেশি পরিমাণে বালি মেশানো প্রয়োজন। তবেই মাটি আর্দ্রতা যুক্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ মাটিতে পরিণত হয়। ফলে জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে জল গড়িয়ে যেতে পারবে। টবে জমে থাকবে না। এক কথায় মাটি হাল্কা শুকনো হলেই জল দেওয়া প্রয়োজন। তবে টব থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে কি না, তা খেয়াল রাখতে হবে।
সূক্ষ্ম অনুভূতি সম্পন্ন, ধীর গতিতে বেড়ে ওঠা এই গাছের বড় বড় সবুজ পাতা শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ঘরে ল্যান্ডস্কেপ বা জঙ্গলের মতো প্রভাব ফেলে না। এরা অধিক মাত্রায় অক্সিজেন প্রদান করে ও বাতাসকে আর্দ্রতা ও দূষণ মুক্ত করে। বর্ষার জলে এদের বৃদ্ধি দ্রুত হওয়ার পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে টবের মধ্যে শিকড় আবদ্ধ হয়। আবার গাছের বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গাছটিকে বড় কোনও টবে স্থানান্তর করা উচিত।
গাছটির সাদাকষ বিষাক্ত হওয়ায় বাড়ির ছোট বাচ্চা ও পোষ্যদের এর থেকে দূরে রাখা উচিত। আবার খুব প্রয়োজনীয় না-হলে এই গাছের স্থান পরিবর্তন না-করাই ভালো। ১৫ দিন অন্তর গাছটিকে হাল্কা স্নান করিয়ে দেওয়া উচিত। পাতায় কোনও সমস্যা দেখা দিলে বা রং পরিবর্তন হলে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া ভালো।
লক্ষ্য রাখতে হবে গাছটি যাতে জলীয় বাষ্প ও আলো উভয়ই সমান ভাবে ও সঠিক পরিমাণে পায়।
যোগাযোগ- ৯৮৩০৮-৩১৫০৪ / ৮০১৭০-৯০০৪৩