গৌর শর্মা
দুই ভূমিপুত্রের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বারাবনি বিধান সভায়। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিধান উপাধ্যায় ওই কেন্দ্রের প্রয়াত বিধায়ক মানিক উপাধ্যায়ের পুত্র ও বিদায়ী বিধায়ক। বি,জে,পি প্রার্থী অরিজিৎ রায় এলাকায় তরুন-তূর্কী নেতা হিসাবে পরিচিত। ভোট যুদ্ধে নতুন মুখ। তারই এক সময়কার সহ যোদ্ধা পবন নুনিয়া, অরিজিতের বিরুদ্ধে নানান আভিযোগ তুলে আলমারি চিহ্নে ভোটের ময়দানে নেমেছেন। পবন নুনিয়া অরিজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত কয়েক বছরে অরিজিতের জীবন যাত্রার অনেক খানি পাল্টে গেছে। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করে ছিলাম, এখন তারাই দলের সর্বেসর্বা।
অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিধান উপাধ্যায়কে বিভিন্ন এলাকায় অনিয়মিত পানীয় জল সরবরাহ ও ভেঙ্গে পড়া নিকাষী ব্যাবস্থার অভিযোগ শুনতে হয়েছে। আর রয়েছেন জাতীয় কংগ্রসের প্রার্থী নরেন্দ্র নাথ বাগচী। তিনি ও বিভিন্ন এলাকায় অনিয়মিত পানীয় জল সরবরাহ ও ভেঙ্গে পড়া নিকাষী ব্যাবস্থার অভিযোগ শুনেছন।
এখানে ভোটে বর্তমান বিজেপি সাংসদ বাবুল বাবুল সুপ্রিয় একটা ইসু বটে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, বাবুলের হাত ধরে কতশত কালো লোকজন বিজেপিতে ঢুকে পড়েছে তার ইতিকথা। যা নিয়ে বিজেপির সমর্থকদের মধ্যে রয়েছে কানাকানি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘরের শত্রু তত্ত্ব। নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে পরা নুনিয়া অবশ্যই গলায় কাঁটা হতে পারে অরিজিৎ রায়ের। সেই ফাঁকে নেপোয় দই মেরে দিলে কিছু বলার নেই, বলছেন এক রসিক ভোটার।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল -বি,জে,পি গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বারাবনি বিধানসভা। বারাবনি গ্রামে দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙ্গচুর, গৌরান্ডী হাটতলায় শুভেন্দুর সভাকে কেন্দ্র করে বাইকে অগ্নি সংযোগ এযাবৎ এই দুটি ঘটনাই প্রমান করে বারাবনি বিধান সভা কেন্দ্রের প্রাক নির্বাচনী পরিস্থিতি ।