গৌর শর্মা
খনি অঞ্চলের বিধান সভা গুলির এখন সবচেয়ে বেশি নজর আসানসোল উত্তর বিধান সভা কেন্দ্র । এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মলয় ঘটক। ২০২১ র নির্বাচনে “ঘটক বিদায়” করতে জোর কোমর বেঁধে নেমেছেন মলয় ঘটকের বিগত নির্বাচনগুলির অন্যতম “বুথ ম্যানেজার” ও বর্তমান বি,জে,পি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু মূখার্জী। মলয় ঘটক খনি অঞ্চলের দীর্ঘ দিনের রাজনীতিবিদ্। ২০১১তে মমতা হাওয়ায় প্রয়াত সি,পিএম বিধায়ক গৌতম রায়চৌধুরীর স্ত্রী রুনু রায়চৌধুরীকে পরাজিত করে মমতার মন্ত্রীসভায় ঢুকে পরেন মলয়। ২০১৬তে বি,জে,পির নির্মল কর্মকারকে পরাজিত করে মলয় ঘটক পুনর্নিবাচত হন। মমতার স্নেহধন্য মলয় পুনরায় মন্ত্রীত্ব লাভ করেন ।
অতীতে কৃষ্ণেন্দু মূখার্জী মলয় ঘটকের অতি ঘনিষ্ট থাকলেও বর্তমানে মলয়ের অন্যতম প্রতিদন্ধী । ২০২১ র নির্বাচনে “ঘটক বিদায়” এর মূল হোতা।মাস কয়েক আগে বি,জে,পিতে যোগদান করে পার্টির রাজ্য কমিটিতে নিজের স্থান করে নিয়েছেন। অন্য বিজেপি নেতাদের মতো সরকারী দেহরক্ষীও জুটেছে কৃষ্ণেন্দু কপালে। এই অল্প সময়েই । অপর দিকে রয়েছেন সংযু্ক্ত মোর্চার মোস্তাকিন সিদ্দিকি । সংযু্ক্ত মোর্চার মোস্তাকিন সিদ্দিকি আসানসোলের শাহীন বাগে এন,আর,সি বিরোধী লড়াইয়ে অন্যতম নেতৃত্ব ছিলেন।
নির্বাচনে মোস্তাকিন সিদ্দিকির প্রাথী হিসাবে নাম ঘোষনা হতেই তার সহযো্দ্ধারা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। নির্বাচনের বহু আগে থেকে কিষান মোর্চার কৃষক নেতারা সভা করে মোদী বিরোধী হাওয়া তুলে দিয়ে গেছেন আসানসোলে। যার প্রভাব পড়েছে পাঞ্জাবী সমাজে। রেল ও খনির বেসরকারীকরণ, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি খনি অঞ্চলের ভোটারের উপর যথেষ্ট প্রভাব সৃষ্টি করেছে ।