প্রতিবেদন ও ছবি- গৌর শর্মা
লাল দূর্গ বলে পরিচিত রানীগঞ্জ বিধান সভা কেন্দ্র। কংগ্রেস জমানায়ও রানীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র উড়েছে লাল ঝান্ডা। ২০১১ র বিধানসভা নির্বাচনে বাম বিরোধী মমতা হওয়ায় লাল দূর্গের পতন ঘটেছিল। সি,পি,এম, ৪০ বছর রানীগঞ্জ বিধানসভা নিজের দখলে রাখার পর ২০১১তে সি,পি,এমের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল প্রার্থী সোহরাব আলি। ২০১৬ তে ওই কেন্দ্রে বিধায়ক সোহরাব আলির স্ত্রী নার্গিস বানু তৃণমূল প্রার্থী হলে সি,পি,এম প্রার্থী রুনু দত্ত ১২,৩৮৫ ভোটের ব্যাবধানে নার্গিস বানুকে হারিয়ে রানীগঞ্জ বিধান সভা কেন্দ্র পুনরুদ্ধার করে ।
২০২১এ রানীগঞ্জ বিধান সভা কেন্দ্রে ত্রিমূখী প্রতিদ্বন্ধীতার সন্মুখ সমরে অবতীর্ণ হচ্ছেন সি,পি,এম-বি,জে,পি ও টি,এম,সি। টি,এম,সি প্রার্থী তাপস বন্দোপাধ্যায় আসানসোল দক্ষিন কেন্দ্র থেকে দলের নির্দেশে এবার রানীগঞ্জ কেন্দ্রে লড়চ্ছেন। বি,জে,পি প্রার্থী বিজন মূখার্জী রানীগঞ্জ অঞ্চলের একজন পরিচিত চিকিৎসক। সি,পি,এমের হেমন্ত প্রভাকর রাণীগঞ্জের তরুণ শ্রমিক নেতা।
টি,এম,সি প্রার্থী তাপস বন্দোপাধ্যায় ও সি,পি,এমের হেমন্ত প্রভাকর উভয়ই ২০১৬ র বিধান সভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিন কেন্দ্র প্রতিদন্ধীতা করেছিলেন। জিতেছিলেন টি,এম,সি প্রার্থী তাপস বন্দোপাধ্যায়। ২০২১ রানীগঞ্জ কেন্দ্র উভয়ই আবার মুখোমুখী অবতীর্ণ হয়েছেন।বি,জে,পি প্রার্থী বিজন মূখার্জী রানীগঞ্জ অঞ্চলে বিশিষ্ঠ সজ্জন ও পরোপকারী তরুন ডাক্তার হিসাবে পরিচিত । রানীগঞ্জ বিধান সভা কেন্দ্রে ত্রিমূখী প্রতিদ্বন্ধীতায় কে জেতে তা জনগনই বলবে।
সিপিএম প্রার্থী তার প্রচারে কেন্দ্র ও রাজ্যের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলছেন। শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এই শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা বলছেন। যদিও মানুষ ছেড়ে কথা বলছে না। ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে রানীগঞ্জে বামেরা কতটা শ্রমিকদের জন্য কাজ করেছেন, সে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বাম প্রার্থী কে। অন্যদিকে দলের নির্দেশে এই কেন্দ্রে এলেও তৃণমূলের কিছুটা ছন্নছাড়া সংগঠন, চিন্তায় রেখেছে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠদের।