কলকাতা ব্যুরো : রামমন্দিরে ভূমিপূজায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৯ বছর পর পা রাখলেন অযোধ্যার মাটিতে। সিল্ক এর কুর্তা আর সাদা ধুতি পরে হেলিকপ্টার থেকে নামেন মোদী। তাঁকে অভ্যর্থনা জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল আনন্দি বেন প্যাটেল। শুরুতেই ৪০ কেজি রুপোর ইট পুঁতে রামমন্দির নির্মাণের সূচনা করেন তিনি।
তাঁর ভাষণে মোদী জানান, রামমন্দির ভূমি পূজনের সঙ্গে সঙ্গে এক স্বর্ণযুগের সূচনা হল সরয়ুর তীরে। বহু প্রতীক্ষার অবসান হলো আজ। তিনি বলেন, ১৫ আগষ্ট যেমন স্বাধীনতার প্রতীক, আজকের দিনটি তেমন ত্যাগ, সংকল্প ও স্বাধীনতার প্রতীক। আজ সারা দেশ রামময় হয়ে উঠলো। অযোধ্যায় শ্রীরামের গুঞ্জন আসমুদ্রহিমাচল ছড়িয়ে পড়বে। এমনকি সারা বিশ্ব আজ রাম নাম ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে। অতীতের সঙ্গে বর্তমানের এক যোগসূত্র স্থাপন করবে এই মন্দির।
মোদী আরও বলেন , এই রাম মন্দির আমাদের সংস্কৃতির প্রতীক। এই মন্দির ভবিষ্যত ভারতবাসীর মনে এক আস্থা, শ্রদ্ধা ও সংকল্প তৈরি করবে।
রামের অপার মহিমার কথাও উঠে এসেছে তাঁর ভাষণে। তিনি বলেন, এই রাম মন্দিরের অস্তিত্ব একসময় মিটিয়ে দেবার চেষ্টা হয়েছিল। তবু তাঁর অপার কৃপায় আজ এই নতুন মন্দির গড়ে উঠলো।” যে সব মানুষ এই রামমন্দির গড়ার প্রচেষ্টায় আত্মবলিদান দিয়েছেন তাদের আমার নমন” , এই ভাবেই প্রধানমন্ত্রী তার শ্রদ্ধা জানান রামমন্দিরের সঙ্গে যুক্ত থাকা অসংখ্য ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, আমাদের সংস্কৃতির আধার রাম। শুধু ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষায় রামায়ান লেখা হয়নি, বিশ্ব জুড়ে বহু দেশ ও মানুষের কাছে রাম নাম প্রসিদ্ধ। রাম ভারতে বিভিন্নতার মধ্যে ঐক্যের প্রতীক। আধুনিকতারও প্রতীক তিনি। এ ভাবেই রামের উদ্দেশে তাঁর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন এসেই প্রথমে রামকে সাস্টাঙ্গে প্রণাম করেন মোদী। তারপর পুজোয় বসেন। অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও বক্তব্য রাখেন। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও ভাষণ দেন।