কলকাতা ব্যুরো: অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হচ্ছে বলে বিদ্যুৎ সংস্থা সিইএসসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন সাধারণ গ্রাহকেরা। এবার তার কবলে পড়লেন খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাদ্যায়ও। একমাসে তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১১ হাজার টাকা। খবরটা সামনে আসতেই অস্বস্তিতে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তারা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, গ্রাহকদের লাগাতার এই অভিযোগের ভিত্তিতে পিছু হটলো সিইএসসি। সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, যাদের অস্বাভাবিক বিল এসেছে, তারা তিনমাসে সেই বিল মেটাতে পারবেন। এই বিষয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবারই সিইএসসি কর্তাদের ডেকে পাঠান বিদ্যুৎমন্ত্রী। সংস্থার কাছে এর ব্যাখ্যা চান তিনি।
সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, যাদের অস্বাভাবিক বিল এসেছে, তারা তিনমাসে সেই বিল মেটাতে পারবেন।
বৈঠকের পরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, আগামী কালের মধ্যে তিনটে লিডিং খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছি। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে আবার ডাকবো। এবিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে অসন্তোষ রয়েছে, সে কথাও জানিয়েছি সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে। বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানান, তারা অবশ্য বলছেন লকডাউনে মানুষ বাড়িতে ছিল। তাই বিল বেড়েছে। আমি বলেছি, তার ব্যাখ্যাও দিতে হবে। কত বেশি ইউনিট বিদ্যুৎ বেশি খরচ হলো আর তার ফলে স্ল্যাবে কি পরিবর্তন হলো সেটা বলতে হবে। বর্ধিত বিল তিন মাসের কিস্তিতে নেওয়ার কথাও রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে সিইএসসি কে।
এদিকে ওই বিদ্যুৎ সংস্থার তরফে এমন অস্বাভাবিক বিল আসার প্রতিবাদে পথে নামছেন শহরের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দও। ২০ জুলাই সিইএসসি-র সদর দপ্তর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিক্ষোভে সামিল হবেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কিছু বিশিষ্ট নাগরিক।