কলকাতা ব্যুরো: করোনা আবহ কাটিয়ে উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রেশন দুর্নীতি নিয়ে ফের সতর্ক করলেন জেলা কর্তাদের। তিনি বলেন, বাংলা সহায়ক কেন্দ্র নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। কাজেই রেশন নিয়ে কোনো অভিযোগ এলে দ্রুত তার সমাধান করতে হবে। জলপাইগুড়ির উত্তরকন্যা প্রশাসনিক দপ্তরে এদিন জেলাগুলির সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর সময় খুব সতর্কভাবে করোনার মধ্যে কাজ করার জন্য স্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিশকে তিনি নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, কারো মধ্যে করোনার মৃত উপসর্গ থাকলে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করান। অযথা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বেড আটকে রাখা যাবে না।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ডুয়ার্সের চা বাগান সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রী মলয় ঘটক, গৌতম দেব কে চা বাগান গুলি খোলা এবং সেখানকার শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে বৈঠক করার নির্দেশ দেন। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে, রাস্তা তৈরির কাজ সহ কোনো উন্নয়নমূলক কাজ যে আর ফেলে রাখা যাবে না, তাও তিনি বুঝিয়ে দেন প্রশাসনিক কর্তাদের।
জেলাশাসকদের উদ্দেশ্যে মমতা নির্দেশ, জাতিগত শংসাপত্র পেতে যেন কারো কোন সমস্যা বা দেরি না হয় সে ব্যাপারে কর্মী অফিসারদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সরকারি কাজে গাফিলতি এবং ঢিলেমি যে বরদাশ্ত করা হবে না তাও বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বাস্তুদের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, সেল্ফ ডিক্লারেশন সার্টিফিকেট দিলে সরকারি কাজ হয়ে যাবে। তার বক্তব্য, উদ্বাস্তুদের জন্য ওই সার্টিফিকেটই যথেষ্ট, অন্য কোন শংসাপত্রের প্রয়োজন হবে না। কোন শংসাপত্র পেতে সরকারের কাছে মানুষকে অযথা সময় নষ্ট না করতে হয় সে ব্যাপারে তিনি জেলা গুলিকে নির্দেশ দেন।