কলকাতা ব্যুরো : ২০ বছরের তরুণীর খুনের অভিযোগে জেল খাটছেন তাঁর বাবা, দাদা এবং আরো এক আত্মীয়। কিন্তু সেই তরুণীকে উদ্ধার করলো পুলিশ তার বয়ফ্রেন্ড এর বাড়ি থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটির নাম কমলেশ। তরুণী তার বাপের বাড়ি থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে বোয়ফ্রেন্ড এর বাড়িতে এতদিন ধরে আছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশ এর আদমপুর পুলিশ স্টেশন এর অন্তর্গত পুরওয়া গ্রামে।
তরুণী খুনের তদন্তকারী অফিসার অশোক কুমার শর্মাকে সাসপেন্ড করেছেন আমরহার পুলিশ সুপার বিপিন তাদা। ওই অফিসাররের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
২০১৯ এর ফেব্রুযারির ৬ তারিখ থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না কমলেশ নামক তরুণীকে। বাবা সুরেশ কুমার থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরনের অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করে । কিন্তু পরে তাঁরা মুক্তি পেয়ে যান। বাবা সুরেশ কুমার কমলেশকে না খুঁজে পেয়ে আবার পুলিশের দ্বারস্থ হন। মামলা তখন আদমপুর পুলিশ স্টেশনের এসএইচও অশোক কুমারের হাতে আসে।
২০১৯ এর ১২ ডিসেম্বর পুলিশ সুরেশ কুমার, তার ছেলে রুপকিশোর এবং তাদের আত্মীয় দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তারাই কমলেশকে মেরে তার লাস নদীতে ফেলে দিয়েছেন। পুলিশ অভিযোগ আনে কামলেশের বাবা ও দাদা তাকে মেরে ফেলেন কারণ কমলেশ তার পরিবারকে বদনাম করেছিল।
কিন্তু কমলেশকে অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেলে কমলেশ নিজের মুখেই পুলিশকে বলেন যে সে বয়ফ্রেন্দের সঙ্গে স্বেচ্ছায় পালিয়ে গিয়েছিল এবং তার সঙ্গেই এতদিন সে থাকতো। তাদের একটি বাচ্চাও আছে।
পুলিশ সূত্রে খবর কমলেশ এর কথা অনুযায়ী পুলিশ কোর্ট এ তার বাবা, দাদা ও আত্মীয় কে জেল থেকে মুক্তির সুপারিশ করবে।