কলকাতা ব্যুরো : কলকাতা বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম পোর্টের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় ত্রিপুরার আগরতলা পৌঁছলো ভারতীয় পণ্য। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পোর্টের লিয়াসো অফিসার সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এ কথা জানিয়েছিলেন দুন কয়েক আগেই।
কলকাতা পোর্ট অথরিটির কাছ থেকে জানা গেছে, এ ধরনের ট্রানজিট রুট ভারতের অনেক সময় ও অর্থ সাশ্রয় করবে। এই রুট ধরে কলকাতা থেকে উত্তর- পূর্বর রাজ্যগুলিতে চাল , গম, শস্য, ইস্পাত খু্ব সহজেই পৌছানো যাবে । এখনও পর্যন্ত ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর পূর্ব ভারতে শস্য ও কাঁচা মাল পৌঁছানো বেশ অসুবিধার ছিল। দুর্গম পথ ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার জন্যই সে কাজটা ছিল কঠিন।
এমভি সেঁজুতি নামের জাহাজে করে ট্রানজিট পণ্য পরিবহন চুক্তির আওতায় ভারতের এই প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে।এদিকে বাংলাদেশ সরকার সূত্রের খবর, চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে ভারতের ট্রানজিট পণ্যের প্রথম চার কন্টেইনারের চালানে প্রায় ৫৮ হাজার ৯০০ টাকা বা ৬৯৪ ডলার আয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের।
তবে সরকারের আযের বাইরে বেসরকারি খাতে পণ্য পরিবহণ সেবা বাবদ আয় হচ্ছে সবথেকে বেশি। সমুদ্র ও সড়ক পথে ট্রানজিট পণ্য পরিবহনকারী ম্যাঙ্গো লাইন লিমিটেড জানিয়েছে, কলকাতা থেকে সমুদ্র পথে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সড়কপথে আগরতলা পৌঁছানো পর্যন্ত জাহাজ ও গাড়িভাড়া মিলে তারা পাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রানজিট পণ্য পরিবহন শুরু হবার বিষয়টি ইতিবাচক। এতে ভবিষ্যতে এই পথটি ট্রানজিট পথ হিসাবে ব্যাবহার হবে। তবে কি পরিমান পণ্য এই পথে আসবে তা নির্ভর করছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পথটি কতখানি আকর্ষণীয় হবে তার ওপর।
প্রসঙ্গত, এই ট্রানজিট রুটের পরিবহন চুক্তি ২০১৮-র অক্টোবর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দিল্লিতে স্বাক্ষরিত হয়। এর একবছর পর দিল্লিতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত পরিচালন পদ্ধতির মান বা এসওপি সই হয়।