কলকাতা ব্যুরো: সংক্রমণ সেই ৮৩ হাজারের ওপরেই রইল। পরপর দুদিন। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে ৩৮ লক্ষ থেকে সাড়ে ৩৯ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে গেল। বহাল থাকল দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বের এক নম্বর স্থানটাও। এই নিয়ে টানা ২৯ দিন। এটাও রেকর্ড। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এই দাবির পিছনে অস্ত্র হল, শুধু সুস্থতার হার। বৃহস্পতিবারের পর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কিছুটা বেড়ে ৭৭.১৫ হয়েছে। যদিও সংখ্যার বিচারে বৃহস্পতিবারের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থদের পরিসংখ্যান কম। কিন্তু মৃত্যুতে তেমন রাশ নেই।
দৈনিক মৃত্যু এখনও হাজারের ওপর। মৃত্যুর হার ১.৭৪। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১,০৯৬ জনের। এই সময়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশে ৮৩,৩৪১। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেল ৩৯,৩৬,৭৪৭-এ। একদিনে এত সংক্রমণের রেকর্ড পৃথিবীর আর কোন দেশে নেই। দৈনিক সংক্রমণে পৃথিবীতে এখন দ্বিতীয় ব্রাজিলে দৈনিক সংক্রমণ ভারতের অর্ধেকের সামান্য বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৬৬,৬৫৯ জন। ফলে দেশে সংক্রমণ মুক্তের মোট সংখ্যা শুক্রবার পর্যন্ত ৩০,৩৭,১৫২। এই পরিসংখ্যানগুলো থেকে স্পষ্ট করোনা সংক্রমণ থেকে ভারতের নিষ্কৃতি পাওয়ার আশু সম্ভাবনা নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার পরিসংখ্যান একমাত্র ভরসার কারণ। কিন্তু নতুন নতুন গবেষণায় কিছু উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
যেমন, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, দেহের স্বাভাবিক ইমিউন সিস্টেম কখনও কখনও অতি সক্রিয় হয়ে করোনা আক্রান্ত দেহ কোষের পাশাপাশি ফুসফুসের সুস্থ কোষকেও আক্রমণ করছে। এতে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শ্বাসকষ্ট বাড়াচ্ছে, কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হচ্ছে।