কলকাতা ব্যুরো: সাত মণ তেল পুড়িয়ে এখন রাধা নাচার সময় যত বিপত্তি।ভূমিপুজোর আগে রয়েছে আর চারদিন। কিন্তু এখন অযোধ্যা কাঁপছে করোনা আতঙ্কে। বাধ্য হয়ে জমায়েত তো দূরের কথা, একসঙ্গে পাঁচজনের জড়ো হওয়াও নিষিদ্ধ করে দিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। সবাইকে বাড়িতে বসে টেলিভিশনে ভূমিপুজোর সরাসরি সম্প্রচার দেখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফলে রাম মন্দির নির্মাণের অনুষ্ঠানে আর ধূমধাম করার উপায় নেই। সেই উন্মাদনা তৈরির সুযোগ নেই। অযোধ্যা প্রশাসন জানিয়েছে, কোভিড প্রোটোকল মেনে ভূমিপুজোর আগের দিন থেকে সেখানে পাঁচ বা তার বেশি লোকের ভিড় নিষিদ্ধ। ফলে ভূমিপুজো হবে কোন জমায়েত ছাড়াই। রামমন্দির নির্মাণের সূচনা উপলক্ষে উন্মাদনা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল হিন্দুত্ববাদীদের। আপাতত সেই ইচ্ছেয় দাঁড়ি টানতে হল। দীর্ঘ মামলা-মোকদ্দমার পর রামমন্দির নির্মাণের অনুমতি মিলেছিল। নির্বিঘ্নেই চলছিল পরিকল্পনা।
বিপত্তির সূত্রপাত, রামমন্দিরেই করোনা হানায়। প্রধান পুরোহিতের এক সহকারী আক্রান্ত হন। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত ১৪ জন পুলিশকর্মীর। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট তখন জানায়, ওই পুরোহিত সহকারী মাত্র। ওঁর ভূমিপুজোয় থাকার কথাই নেই। ফলে ভূমিপুজোয় সমস্যা নেই। কিন্তু অযোধ্যা শহরে একধাক্কায় ১৪২ জন করোনা আক্রান্ত বলে শুক্রবার রিপোর্ট আসায় প্রমাদ গোনে প্রশাসন। তারপর শুরু হয় কড়াকড়ি। তবু শেষপর্যন্ত কী হবে, তা নিয়ে প্রশাসনের ধন্দ রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, মঞ্চ ঘিরে ৫ জনের বেশি জমায়েত না করার বিধি রক্ষা করা হবে কী করে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সম্পাদক নিত্যগোপাল দাস, উমা ভারতী প্রমুখের মঞ্চে থাকার কথা। ৫ অগাস্ট ভূমিপুজো নির্ধারিত আছে। করোনা পরিস্থিতির এই ক’দিনে পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ভূমিপুজো নিয়ে বিড়ম্বনা আরও বাড়বে গেরুয়া শিবিরে।