কলকাতা ব্যুরো: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল বিশ্বভারতী। নিরাপত্তার অভাবের কথা উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মেলা মাঠে পাঁচিল ঘেরাকে কেন্দ্র করে গোলমালের মধ্যে আজ সকালে বিশ্বভারতী চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দাদের চড়াও হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ।
এরইমধ্যে মেলা মাঠ ঘেরার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ-ভাঙচুরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু এ দিন বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তাঁর বক্তব্য, ‘আমি চাই না পৌষমেলা মাঠে কোনো পাকা নির্মাণ হোক’। মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, রবীন্দ্রনাথ মুক্ত পরিবেশে, প্রকৃতির মাঝে শিক্ষার জন্যই শান্তিনিকেতন গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে ওই মাঠ ঘেরার কারণ কি বোঝা যাচ্ছে না।
যদিও বিশ্বভারতীর তরফে পরিচালান সমিতির সদস্য সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাঠ ঘেরা হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের সেখানে হাঁটা বা ছোটদের খেলাধুলার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।
যদিও মেলা মাঠ গত কয়েকদিন ধরে ঘেরার কাজ শুরু হওয়ার পর আজ সকাল থেকে এর বিরোধিতায় মাঠে নামে স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতিতেই ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ। পে লোডার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় গেট। এমনকি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অস্থায়ী অফিসেও ভাঙচুর হয়।
এ দিকে সকাল থেকে মেলা মাঠে তান্ডব চলছে বলে অভিযোগ করে আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন রাজ্যপাল। তিনি সে কথা টুইট করেও জানান। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, উনি আগে টুইট করে আমায় ফোন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমি কিছু বলবো না। তবে এ নিয়ে গোলমাল যাতে না হয় তাই জেলাশাসককে সব পক্ষকে ডেকে বৈঠক করে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে বলেছি। আদপে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেও অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে রাজ্যের ‘পুরোনো সম্পর্ক’ পিছু ছাড়ছে না।
Previous Articleপন্ডিত যশরাজ প্রয়াত
Next Article করোনার নয়া বিপদেও ভারত যোগ
Related Posts
Add A Comment