কলকাতা ব্যুরো: আলিপুর চিড়িয়াখানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি গঠন করলো জু অথরিটি। বিজ্ঞাপন লাগানোর জন্য একটি পোল পোতার গর্ত খোঁড়ার সময় সেখানে ছিঁড়ে পরে থাকা একটি বিদ্যুৎবাহী তারের সঙ্গে গাইতি ছুঁয়ে যাওয়াতেই মুর্শিদাবাদের কান্দির বাসিন্দা তারিণী ঘোষ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাঁকে তড়িতাহত হতে দেখে বাঁচাতে যান চিংড়িঘাটার বাসিন্দা প্রদীপ দাস। তিনিও তড়িতাহত হলে ছুটে যান চিংড়িঘাটার আরেক যুবক লিটন দাস। এরপরেই চিড়িয়াখানার সব বিদ্যুৎ পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে তাঁদের সরিয়ে আনা হয়। লিটন দাস এখনো হাসপাতালে আশঙ্কাজনক। অপর দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
লকডাউনের মধ্যে কি করে প্রায় ২০ জনকে এই ভাবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিড়িয়াখানাকর্মী সংগঠনের নেতা রাকেশ সিং। যদিও চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিষ সামন্ত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। রাজ্য জু অথিরিটির সদস্য–সচিব ভিকে যাদব বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই ওখানে কাজ চলছিল। সেই কাজ শেষ না হওয়ায় এ দিনও তাঁরা কাজ করছিলেন। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেছেন, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।