কলকাতা ব্যুরো: করোনা আবহে আক্রান্তের থেকেও আক্রান্ত হলে কি হবে এই ভয়েই সিঁটিয়ে রয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। আর করোনা চিকিৎসার সঙ্গেই অযথা আতঙ্ক না ছড়িয়ে সচেতন থাকার জন্য পরামর্শ দিতে গিয়ে বাড়তি সময় খরচ করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
আর এই পরামর্শ বা চিকিৎসার জন্য এ রাজ্যে এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম ডাক্তার যোগীরাজ রায়। একটু সুযোগ পেলেই তাঁর থেকে পরামর্শ নিতে লাইন লাগাচ্ছেন প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তি থেকে আমজনতা। সকলেই নিজে বা নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখার বা চিকিৎসার জন্য পরামর্শ নিচ্ছেন ছোঁয়াচে রোগের বিশেষজ্ঞ, অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্স থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে আসা ডাক্তার রায়ের।
কিন্তু এক মঞ্চে তাঁর দেওয়া বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে আর শুনে মানুষের জন্য কাজ করতে চাওয়া? তাও কোনো যুবক বা যুবতী নন, ৮৩ বছরের বৃদ্ধ, পেশায় চিকিৎসক জ্ঞান শীল আপ্লুত ডাক্তার যোগীরাজের বক্তব্য শুনে। যদিও এখনও তিনি গৃহবন্দি থেকেও করেন শরীর চর্চা। সিটিজেন্স ফর সোশ্যাল জাস্টিসের উদ্যোগে কয়েকদিন আগে করোনা সচেতনতার এক শিবির হয় বহরমপুরে। সেখানে মঞ্চে অন্যতম বক্তা যোগীরাজের বক্তব্যের ভিডিও আপলোড করা হয় ফেসবুক পেজে।
সেই বক্তব্য শুনে ফেসবুক ওয়ালেই তিনি নিজের কথা জানিয়েছেন ডাক্তার শীল। তিনি যে ডাক্তার রায়ের বক্তব্য শুনে অভিভূত জানিয়েছেন তা-ও। নিজের পরিচয় দিয়ে, বাড়ির ঠিকানা ফোন নম্বর দিয়ে তিনি করোনা আবহে কাজ করার জন্য যোগ দিতে চেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে। কোভিড কেয়ার নেট ওয়ার্ক নামে নতুন একটি গড়ে ওঠা সংগঠনে পরামর্শদাতা হিসেবেই যোগীরাজ রায়ের মতো রয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ডাক্তার শীলের এমন স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা দেখে আপ্লুত ওই সংগঠনের সম্পাদক পর্বতারোহী সত্যরূপ সিদ্ধান্ত। ফেসবুকে বৃদ্ধ চিকিৎসকের লেখা দেখে তাঁকে নিজেই ফোন করে তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর আশ্বাস দেন সত্যরূপ।
ডাক্তার শীল নিজেও এক সময় ছিলেন এইমসে। তাঁর এ ভাবে শুধু বক্তব্য শুনেই এগিয়ে আসার ইচ্ছে জানানোয় নিজেদের কৃতজ্ঞ ভাবছেন চিকিৎসকরাও। অনেক নেতিবাচকের মধ্যে এমন পাওয়ায় কাজ করার ইচ্ছে আরও বাড়িয়ে দেয়। বলছেন যোগীরাজের মতো চিকিৎসকরা।