Close Menu
Kolkata361°
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Follow Us
  • Facebook
  • Twitter
  • YouTube 733
  • WhatsApp
Facebook X (Twitter) Instagram
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp
Kolkata361°
Subscribe Login
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Kolkata361°
You are at:Home»এক নজরে»এপাড় ওপাড় লালে লাল
এক নজরে

এপাড় ওপাড় লালে লাল

তপন মল্লিক চৌধুরীBy তপন মল্লিক চৌধুরীSeptember 28, 2022Updated:September 28, 20222 Comments4 Mins Read
Facebook Twitter WhatsApp Email
Share
Facebook Twitter Email WhatsApp
কাঁচা অতসী ফুলের মতো গায়ের রং তাঁর। স্থানভেদে কখনো হাল্‌কা গোলাপী, কখনো ফিকে হলদে। কিন্তু টকটকে লাল? হ্যাঁ এমন দুর্গামূর্তিরও দেখা মেলে এপাড় ওপাড় দুই বাংলাতেই। দেবী দুর্গার এমন গায়ের রঙ দেখা যায় শ্রীচৈতন্য-র লীলাভূমি নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে, কোচবিহারের বড়দেবী বাড়ি, জলপাইগুড়ি বৈকণ্ঠপুর রাজবাড়িতে ও বাংলাদেশের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও গ্রামে। লালরঙের দুর্গামূর্তি ঘিরে গপ্পকথাও আছে প্রচুর, তবে এসব পুজোর কোনওটাই বারোয়ারি নয়, কয়েকশো বছরেরও বেশি পুরোনো জমিদার অথবা বনেদিবাড়ির পুজো।

নবদ্বীপের যোগনাথতলার কুমারনাথ ভট্টাচার্যর বাড়িতে একশো কুড়ি বছর ধরে হয়ে আসছে লাল দুর্গার পুজো। ভট্টাচার্য পরিবারের আদি বাড়ি ছিল অবশ্য বাংলাদেশের ঢাকা জেলার মিতরা গ্রামে। সেখানেও পুজো হত লাল দুর্গা। দেশভাগের বহু আগেই ভট্টাচার্য পরিবার মিতরা থেকে যোগনাথতলায় চলে এসেও পূর্বপুরুষদের পুজো  চালিয়ে যাচ্ছেন, ধরে রেখেছেন লাল দুর্গামূর্তির ঐতিহ্য। কিন্তু দেবীমূর্তির রং লাল কেন? ঘটনাস্থল মিতরা, দেবী বন্দনার সময় গৃহকর্তা ছেলেকে পাশে বসিয়ে চণ্ডীপাঠ করছেন। ছেলে বাবার উচ্চারণে ভুল ধরলে ক্রুদ্ধ বাবা ছেলেকেই পাঠ করতে বলেন। ছেলের বিশুদ্ধ উচ্চারণ ও অপূর্ব সুরের চণ্ডীপাঠ শুনে নাকি দেবী দুর্গা এতই প্রসন্ন হন যে দক্ষিণমুখী দুর্গা পশ্চিমমুখী হয়ে যান সেই সঙ্গে তাঁর মুখের আভা আনন্দে লাল হয়ে ওঠে। এরপর থেকেই ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গামূর্তির গায়ের রং লাল হয়ে যায়। নদিয়ার যোগনাথতলার ভট্টাচার্য বাড়ি ছাড়াও লাল দুর্গামূর্তি পুজো হয় কৃষ্ণনগরের নেদেরপাড়ায় চক্রবর্তী পরিবারে। এদের আদি বাড়ি ছিল কৃষ্ণনগর শহরের নগেন্দ্রনগরে। সেখানেই লাল দুর্গামূর্তির পুজো শুরু হয়েছিল। সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেছে নেদেপাড়ার বংশধররা।

তাহেরপুরের জমিদার কংসনারায়ণ ১৫৮০ সালে যে দুর্গা পুজোর আয়োজন করেছিলেন সেটাই বঙ্গদেশের প্রাচীন দুর্গাপুজো বলে স্বীকৃত। কিন্তু ১৫৬২ সালে কোচ রাজা নরনারায়ণ সংকোশ নদীর ধারে চামটা গ্রামে যে দুর্গা পুজোর সূচনা করেছিলেন তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সেই দেবী দুর্গার গায়ের রঙও টকটকে লাল; বলা ভাল রক্তবর্ণ, ভয়ালদর্শনা। কথিত, রাজা নরনারায়ন স্বপ্নে এমন দেবীরূপ দেখেই দুর্গা পুজোর সূচনা করেছিলেন। আর সেটাই হল হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীন দুর্গা পুজো যা কোচবিহারের বড়দেবী বাড়ির দুর্গাপুজো নামে পরিচিত।

এই দুর্গা-মূর্তির রং ও রুপ একেবারেই অন্যরকম। দুর্গা বসে আছেন বাঘের পিঠে। দেবী শান্ত, সৌম নন একেবারেই। ভয়াল দর্শনা দশপ্রহরনধারিণী যেন রক্তে স্নান করে আমাদের দিকেই তেড়ে আসছেন। তাঁর সংসারে লক্ষ্মী, গনেশ, কার্তিক, সরস্বতী নেই, দুপাশে আছেন জয়া ও বিজয়া। পুরনো কোচবিহার থেকে মাত্র এক কিমি দূরে বড়দেবীর মন্দির। সাধারণ মানুষ সপ্তমী থেকে দশমী- এই চারটি দিন তাঁর দর্শন ও তাঁকে নিবেদনের সুযোগ পান। পুজোর অন্যতম অনুষঙ্গ পশুবলি- পায়রা থেকে পাঠা, মোষ, শোল মাছ, শুয়োর; বলি হয় রোজ। একসময় নাকি নরবলি হত। এখন প্রতীকী নরবলি হয়, তবে সাধারণের দেখা নিষেধ। চালের গুঁড়ো দিয়ে আঁকা মানুষ বলি হয়। কিন্তু তাতেও দরকার হয় মানুষের রক্ত। বংশানুক্রমিকভাবে একটি পরিবারের সদস্যরা আঙুল কেটে সেই রক্ত দিয়ে আসছেন।

রক্তবর্ণা বা লাল রঙের দুর্গামূর্তি পুজো হয় জলপাইগুড়ি বৈকণ্ঠপুর রাজবাড়ির পুজোতেও। রক্তবর্ণা দুর্গার হাতে ত্রিশূলের বদলে থাকে শূল বা বল্লম জাতীয় অস্ত্র, সেই অস্ত্র দিয়ে দুর্গা অসুরকে আঘাত করছেন। রায়কত বংশের প্রাচীন মুর্তিতে যদিও কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী কেউ থাকত না। কয়েক বছর ধরে তাদের লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে আগের মতো জয়া, বিজয়া, মহাদেব, ব্রহ্মা, মেছেনিও আছেন। শাস্ত্রে ব্যাঘ্রবাহনা দুর্গার উল্লেখ না থাকলেও রায়কত পরিবারের লাল দুর্গা সিংহের বদলে বাঘের ওপর অধিষ্ঠান করেন। একচালার প্রতিমায় দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, গনেশ, কার্তিক, সরস্বতী ও তাদের বাহনরাও থাকেন। একচালার প্রতিমাটি একটি রথের ওপর বসানো থাকে। রথটি সাধারণত বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের ময়না কাঠ দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। রাজা প্রসূনদেব রায়কত বংশের রীতি অনুসারে কৃষ্ণনগর থেকে মৃৎ শিল্পী এসে মূর্তি নির্মান করেন। বিগত পাঁচশো ধরে এমনটাই হয়ে চলেছে।

তবে বৈকুন্ঠপুর রাজপরিবারের লাল দুর্গা কোচবিহারের বড়দেবী বাড়ির দুর্গার মতো ভয়ংকর নয় কিম্বা সংহার দৃষ্টিতেও চেয়ে থাকেন না। বরং ডিম্বাকৃতি মুখের উজ্জ্বল চোখ দুটি দেখে মনে হয় পৃথিবীর সমস্ত কোণে তিনি শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন। জটাধারী দেবীর তৃতীয় নয়নটিও উজ্জ্বল; তা থেকেও ঝরে পড়ছে শান্তি। সময় এগিয়ে চলেছে, দ্রুত বদলাচ্ছে চারপাশ, এতকিছুর পরিবর্তনেও প্রাচীন রীতিনীতি বদলের চেষ্টা নেই এই রাজবাড়ির পুজোয়। যতদূর সম্ভব চেষ্টা করা হয় ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার। আদতে রাজবাড়ির পুজো হলেও বিগত পাঁচশো বছরের বেশি সময় ধরে জলপাইগুড়িবাসীর আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রস্থল বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির পুজো।

এপাড়ের মতো ওপাড় বাংলাতেও হয়লাল দুর্গার পুজো। বাংলাদেশে একমাত্র লাল দুর্গা পুজো হয় মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ে। রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁওয়েরএই পুজোর বয়স তিনশো পেরিয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাড়া তিনশো বছর ধরে ব্যতিক্রম এই পুজো হয়ে আসছে।রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও গ্রামে সর্ব্বানন্দ দাশের বাড়িতে লাল বর্ণের এই দুর্গা পুজোর আয়োজন মূলত পারিবারিকভাবে করা হলেও বর্তমানে এটা সার্বজনীন রুপ লাভকরেছে।

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Email
Previous Article#StockMarket : শিথিল ভাবেই দিনের শেষ Share Market-এ
Next Article শচীন দেববর্মন রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের সুর অনুকরণ করেছিলেন
তপন মল্লিক চৌধুরী

Related Posts

May 16, 2025

পুলিশের লাঠি কি কেবল ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য  

5 Mins Read
May 14, 2025

হারিয়ে যাওয়া মৃণাল সেন

4 Mins Read
May 12, 2025

কেন এত অস্ত্র, যুদ্ধ, মেধা অপচয় আর মানব হত্যা

4 Mins Read
May 9, 2025

রামকৃষ্ণদেবের জন্মশতবর্ষে রবীন্দ্রনাথের শ্রদ্ধা নিবেদন   

4 Mins Read
View 2 Comments

2 Comments

  1. Nilanjana Mukhopadhyay on September 29, 2022 8:59 am

    খুব চিত্তাকর্ষক তথ্য ও প্রতিবেদন।

    Reply
  2. aparajita bhattacharya on September 29, 2022 9:18 am

    খুব ভালো লাগলো পড়ে। অনেক অজানা তথ্য জানলাম।

    Reply
Leave A Reply Cancel Reply

Archives

পুলিশের লাঠি কি কেবল ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য  

May 16, 2025

হারিয়ে যাওয়া মৃণাল সেন

May 14, 2025

কেন এত অস্ত্র, যুদ্ধ, মেধা অপচয় আর মানব হত্যা

May 12, 2025

রামকৃষ্ণদেবের জন্মশতবর্ষে রবীন্দ্রনাথের শ্রদ্ধা নিবেদন   

May 9, 2025

আহমদ ফারহাদের গোটা জমিটাই কি সেনাবাহিনীর 

May 7, 2025

সাপ্তাহিক রাশিফল ( Weekly Horoscope )

May 5, 2025
  • Login
  • Register
Pages
  • Home
  • About us
  • Disclaimer
  • Terms and Conditions
  • Contact
Kolkata361°
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp RSS
© 2025 by kolkata361.in

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

Sign In or Register

Welcome Back!

Login to your account below.

Lost password?