Mainak Sharma
(portfolio manager and analysts, Anand Rathi share and stock brokers limited)
Contact 8759689108
সাত মাস পেরিয়ে গেলেও আপাতত যুদ্ধ বিরতির সম্ভাবনা নেই রাশিয়া র তরফে , উল্টে বরং আর্মি মোবিলাইজেশনের পথে বা এক কোথায় নাগরিকদের সেনা বাহিনীতে যোগের পক্ষে পুতিন সম্রাজ্য। এই সিদ্ধান্তের পরেই পুতিনের উপর ভয় ও অনাস্থা জন্মায় রাশিয়ান মহলে।
সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের মতে প্রায় তিন লক্ষ সেনা নিয়োগের লক্ষে রাশিয়া। লক্ষ উক্রেন র হেরে যাওয়া ভূখণ্ড কে আবার পুনরুদ্ধার করা । আর প্রথা অনুযায় সেনা অভ্যাস বাধ্যতামূলক রাশিয়ান মহলে তাই রাষ্ট্রপতি পুতিনের এই রুপি ঘোষণা। ১৮ থেকে ৩৫ বছরের পুরুষদের ডাক পড়তে পারে সেনায়। আর এই ঘোষণার পরেই ভয়ে গোটা রাশিয়ান নাগরিক। ভয় এতটাই যে বিবিসি জানিয়েছে, ফিনল্যান্ড, জর্জিয়া এবং মঙ্গোলিয়ার সীমান্তে পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ লাইনে হাজার হাজার মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কেউ কেউ পালাচ্ছে কাজাকিস্থানে কারণ রাশি থেকে কাজাগিস্তানে যেতে প্রয়োজন নেই ভিসার।
কেবল তাই নয় FlightAware এর মতে, (একটি ওয়েবসাইট যা বিশ্বজুড়ে ফ্লাইটগুলি ট্র্যাক করে), সেই শহরগুলিতে বিমানের আসনগুলি যেগুলি এখনও রাশিয়ায় সরাসরি ফ্লাইটের অনুমতি দেয়, ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। বুধবারের ঘোষণার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে বা গুগলে একাদিক খোঁজ করা হয়েছে ও প্রশ্ন আসতে শুরু করে “কিভাবে রাশিয়া থেকে বের হওয়া যায়,” এবং “বাড়িতে আপনার হাত কীভাবে ভাঙতে হয়,” সম্ভবত সামরিক পরিষেবা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, প্রবণতামূলক বিষয় ছিল যে কি ভাবে নিজের হাত ভেঙে ফেলা যাই যাতে উক্রেন যুদ্ধে না যাওয়া র ডাক আসে তাদের।
সেনায় যোগদান করতে হবে ঘোষণার পরই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা OVD-Info.org এর মতে অন্তত ১ ,৩১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
এর আগেও বিশ্বযুদ্ধে একত্রিত হয়ে দেশ বাঁচাতে সেনাতে নাগরিক যোগদান হয় রাশিয়ায় , কিন্তু সেই সময় জার্মানদের রুখতে ও নিজের ভূখণ্ড কে বাঁচাতে একাদিক নাগরিক যোগদান করে সেনায়। কিন্তু এক্ষত্রে উক্রেন নাতো তে যোগদান করবে না জেনেও নিজের শক্তি দেখতে ব্যাস্ত পুতিন। এছাড়াও একাদিক বয়কটের মুখে রাশিয়া , পুরো বিশ্ব এককোনে করছে মস্কো কে ফলে রাশিয়ান রা জানেন তারা গুগলের পরিষেবা ম্যাক ডোনান্সের ও মাইক্রোসফটের মতন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে কিচি দিনের মধ্যেই । শুধু তাই নয় যে ভাবে মার্কিন মদত পাচ্ছে উক্রেন তাতে ব্যাকফুটে রাশিয়া যার ফলে মৃত্যু মুখে একাধিক রাশিয়ান নাগরিক।
নাগরিকদের মোতে এই যুদ্ধ যৌক্তিক নয়। বিশ্ব রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান নাগরিক সমবেদনা হারাচ্ছেন পুতিন ফলে সেনা বলে যুদ্ধ পথ খোলা নেই রাসিয়ার কাছে , বিকল্প রয়েছে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা এতে ভবিষ্যতে নর্থ কোরিয়ার মতন কোন ঠাসা হতে পারে মস্কো।