কলকাতা ব্যুরো: দলটার নাম কংগ্রেস। যেখানে গান্ধী-সুভাষের আমল থেকে লবিবাজি আছে। সেখানে কেউ বললে মানবে যে ওয়ার্কিং কমিটির সোমবারের বৈঠকে সব কিছু মধুরেন সমাপয়েৎ হয়েছে? না, হয়নি। হওয়ার কথাও নয়। যেভাবে কার্যত বিজেপির দালাল বলে তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন রাহুল গান্ধী, তা মেনে নেওয়া গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মাদের মতো প্রবীণ নেতাদের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রত্যাঘাত করার হিম্মত এঁদের নেই বটে, কিন্তু নিজেদের মধ্য গুজুরগুজুর, ফুসুরফুসুর তো চলবেই। সেটাই শুরু হয়েছে।
সোমবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর রাতেই একদফা রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবির বাড়িতে আলোচনা করেছিলেন সক্রিয় নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবিদাররা। ২৩ জন এমন দাবিদার নেতার চিঠি নিয়েই এখন ধুন্ধুমার কংগ্রেসে।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও আবার গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে বৈঠকে বসেছেন কংগ্রেসের কিছু নেতা। ২৩ জনের মধ্যে ৯ জন ওই বৈঠকে আছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বৈঠক না বলে আড্ডা বলাই ভালো। তাতেই আবার সংবাদমাধ্যমে কংগ্রেসে ভাঙনের জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও সেই সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার সাহসই কেউ দেখাতে পারেন না। মনে করা হচ্ছে, নিজেদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে বিক্ষুব্ধ নেতাদের এই আড্ডা চলছে। তাতে অবশ্য আবার বিদ্রোহের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। খুব শিগগির ভাঙনের সম্ভাবনাও তেমন নেই বলে মনে হচ্ছে।