কলকাতা ব্যুরো: নাগরিক ক্ষোভ চাপা দিতে আবার সেই পুরনো খেলা খেললো উত্তরপ্রদেশ সরকার। হাত্রাসে গণধর্ষণ ও নির্যাতিতার মৃত্যুর ঘটনার পর সারাদেশে যেভাবে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে তা সামাল দিতে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের সাসপেন্ডের সেই পুরনো খেলায় নামলো যোগী আদিত্যনাথ এর সরকার। জেলার দুই কর্তার সঙ্গেই সাসপেন্ড করা হয় সাত পুলিশকে। যাকে এক কথায় নাটক বা মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা বলেই অভিহিত করছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ।
হত্রাসের পুলিশ সুপার ও এক ডিএসপি এবং জেলাশাসককে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাসপেন্ডের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। মঙ্গলবার ভোরে ওই নির্যাতিতা দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যুর প্রায় ৭২ ঘন্টা পরে কেন এই সাসপেনশন, তা নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ সরকারের।
উত্তরপ্রদেশের নাগরিকদের একটা অংশ মনে করছে, ক্ষোভের আগুন যেভাবে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে কোনরকম মলম লাগানোর জন্যই এই সাসপেন্ডের নাটক। এ প্রসঙ্গেই তারা বলছেন, যদি ধরেও নেওয়া যায় বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার পরিবারকে যে ভাষায় জেলাশাসক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এবং তা মোবাইল ক্যামেরায় মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল, তার জেরেই এই সাসপেনশন। কিন্তু পুলিশ সুপারের সে ক্ষেত্রে ভূমিকা কি ছিল? কেননা প্রথম দিন থেকেই উত্তর প্রদেশে পুলিশের শীর্ষ কর্তারা বলে এসেছেন, নির্যাতিতার ধর্ষণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
দ্বিতীয়ত, পুলিশ যে সে রাতে বাড়ির লোককে অন্ধকার রেখেই কেরোসিন তেল ঢেলে বেওয়ারিশ লাশের মতো নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দিয়েছিল তা তো অন্যায় কিছু দেখেননি রাজ্য পুলিশের কর্তারা। বরং সে রাতে পুলিশ সঠিক কাজ করেছে বলেই ক্যামেরার সামনে ও মন্তব্য করেছিলেন আইজি আইন-শৃঙ্খলা। সে ক্ষেত্রে কেন পুলিশ সুপার বা ডিএসপি সাসপেন্ড, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষও।