কলকাতা ব্যুরো : দুর্গাপূজার নবান্নের গাইডলাইনে বলা হযেছে এই বছর এক ভয়ঙ্কর অতিমারির মধ্যে দুর্গাপূজা আয়োজিত হচ্ছে। ফলে পূজা কমিটিগুলোর উচিৎ সাধারণ মানুষ ও দর্শনার্থীদের নিরাপদে পূজো দেখতে সুযোগ করে দেওয়া। আরও জানানো হয় ২৪ তারিখে নেতাজি ইনডোরে বিভিন্ন দুর্গাপূজা কমিটির সঙ্গে কথা বলে এই গাইডলাইন প্রকাশ করা হযেছে।
গাইডলাইনে পূজো কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হযেছে বড়ো জায়গা নির্বাচন করে মণ্ডপ যতখানি খোলামেলা রাখা যায় তার ব্যবস্থা করতে। মণ্ডপের ওপরটা ঢাকা হলে , মণ্ডপের দু তিন দিক অন্ততঃ যেনো খোলা রাখা হয়। দর্শনার্থীদের দুরত্ব যেনো বজায় থাকে এবং তাদের ঢোকা ও বার হবার জন্য যেনো আলাদা গেট অবশ্যই রাখা হয়। একসঙ্গে বেশি মানুষ প্যান্ডেলে যাতে ভিড় না করেন তার জন্য ও পূজা কমিটিগুলো যেনো সজাগ দৃষ্টি রাখে।
গাইডলাইনে আরও জানানো হযেছে সব দর্শনার্থীদের যেনো মণ্ডপে মাস্ক পরে এবং স্যানিটাইজার নিয়ে মণ্ডপে ঢোকে। যদি কেউ মাস্ক ছাড়া মণ্ডপে আসে তবে পূজা কমিটিগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে তাদের মাস্কের ব্যবস্থা করে দিতে। স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে অঞ্চলে পূজো হচ্ছে সেই অঞ্চলে পূজা কমিটিগুলোকে স্যানিটাইজার রাখার এবং সবাই ব্যবহার করছে কিনা তা দেখার ও অনুরোধ করা হয়েছে। যথেষ্ট পরিমাণে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে অঞ্জলী, প্রসাদ বিতরন এবং সিঁদুর খেলার আয়োজন করতেও বলা হয়।
এবারে পূজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বলা হয় মণ্ডপের মধ্যে বা বাইরে যেনো কোনরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা না হয়। সামাজিক এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াকে ব্যাবহার করে পূজা কমিটিগুলোকে মানুষকে সচেতন করার কথা বলা হয়।
বিসর্জন খুবই সাধারণ ভাবে ভিড় এড়িয়ে করার অনুরোধ করা হয়েছে পূজা কমিটিগুলোকে। কমিটিগুলোকে জানানো হয় তারা সরাসরি না এসে অনলাইনের মাধ্যমে যেনো পূজার অনুমতি নেয়। একথাই পরিষ্কার করে দেওয়া হয় আগের বছরগুলোর মত এবছর কোনরকম কার্নিভালের আয়োজন রাজ্য সরকার থেকে আয়োজন করা হবে না।
এই বছর পূজা কমিটি গুলি সংসলিষ্ট ইলেকট্রিক কোম্পানিগুলি থেকে ৫০ শতাংশ ছার পাবে বলেও জানানো হয়। এছাড়া বর্তমান অবস্থার কথা ভেবে রাজ্য পূজা কমিটি ও আয়োজকদের ৫০,০০০ টাকা সাহায্য বা অনুদান দেবে বলেও জানানো হয় নবান্নের গাইডলাইনে। আগেই সিদ্ধান্ত হলেও আজ সরকার এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানায়।