কলকাতা ব্যুরো : নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার নতুন শিক্ষা নীতি নিয়ে আসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের ক্যাবিনেট বৈঠকে নতুন শিক্ষা নীতি অনুমোদন করেছে বলে জানা গিয়েছে।
নতুন শিক্ষা নীতির খসড়াটি ২০১৯-র ৩১ জুলাই খসড়া প্রস্তাব হিসাবে পেশ করা হয়। কিন্তু নানা মহল থেকে এই শিক্ষা নীতিকে সমালোচনা করা হয়। বিশেভাবে তিনটি ভাষা পড়ানো এবং ৪ বছরের বিএড-র ব্যাপারে অনেকেই আপত্তি জানান।
কিন্তু নতুন শিক্ষা নীতি উপস্থাপিত হবার পর দেখা যাচ্ছে ৩৪ বছরের শিক্ষা নীতি সম্পূর্ণ বদলে ফেলে শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পরিবর্তনের পথে হাঁটতে চলেছে মোদী সরকার। আরো গুরুত্বপূর্ণ সেপ্টেম্বর – অক্টোবরে নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু হবার আগেই এই শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চায় সরকার।
ক্যাবিনেট মিটিং এর পরে জানানো হয়, একবিংশ শতাব্দীর পড়ুয়াদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই শিক্ষানীতি। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখ্রিয়াল ও কেন্দ্রিয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকার নীতির দিকগুলি ব্যাখ্যা করেন।
[3d-flip-book mode=”fullscreen” urlparam=”fb3d-page” id=”5894″ title=”false”][/3d-flip-book]
এই শিক্ষানীতিতে আর কোনো গুরুত্ব থাকছে না দশম বোর্ড পরীক্ষার। অর্থাৎ মাধ্যমিক গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে। নবম-দশম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে ৮ টি সেমিস্টার হবে। একাদশ দ্বাদশ এ বানিজ্য , বিজ্ঞান বা কলা নামে কোনো আলাদা বিভাগ থাকবে না। স্নাতক তিন বছরের বদলে ৪ বছরের হবে। এই শিক্ষানীতিতে এম.ফিল থাকছে না ।
পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাতৃভাষাকে শিক্ষাদানের মাধ্যম করা হবে। সমস্ত স্কুল জীবনে সংস্কৃত পড়ার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা। তিনটি ভাষার নীতি মানা হবে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায়। আরো জানা গিয়েছে, উচ্চ শিক্ষায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে পড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে।