জামতারায় তারা নেই।স্টার স্টাডেড সিরিয়াল নয়। নেই কোন বড় নায়ক নায়িকা। পরিচলক সৌমেন্দু পাধি সব নতুন মুখ নিয়েই টেনে দিয়েছেন দশ পর্বের ওয়েবসিরিজ। মূল বিষয় সাইবার ক্রাইম। চলতি ডাষায় PHISHING। যে কোন লোকের কাছে তার ডেবিট কার্ডের নম্বর, কার্ডের পেছনের cvv আর ওটিপি জেনে নিতে পারলেই তার টাকা আপনার একাউন্টে ঢুকিয়ে দিতে পারবেন বা তার টাকা দিয়েই আপনার ইচ্ছে মতো জিনিস কিনে নিতে পারবেন amazon বা flipkart এর মত সংস্থার থেকে।
জামতারার পনেরো কুড়ি বছরের ছেলে মেয়েদের কাছে এটাই বিজনেস। আর এই বিজনেসে সানির জুড়ি মেলা ভার। কয়েকটা মোবাইল আর আনরেজিষ্টার্ড সিম কার্ড নিয়ে সানি আর তার সাঙ্গপাঙ্গ ছেলেছোকরারা দিনে লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছিল জামতারায়। সব্বাই তারা নাবালক। তাই কিছু বুড়ো তাদের জোটাতে হয়েছিল। নাবালকদের নামে তো আর ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলা যাবে না। টাকা রোজগার করবে নাবালকের দল আর ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলবে বুড়োরা। বিনিময়ে কমিশন জুটবে তাদের।
কিন্তু ঝমেলা করে ফেললো রকি। সানির মামাতো ভাই। তার বড় নেতা হবার শখ। সে চায় ব্রজেশ ভাইয়ের সঙ্গ । ব্রজেশ ভাই জামতারার দোর্দন্ডপ্রতাপ এমএলএ। সানিদের রোজগারের খবর এতদিন রাখছিল সে। এবার সুযোগ পেযে সানিদের রোজগারের অর্ধেক হিসসা চেয়ে বসল ব্রজেশ। সানির হিসসা দিতে প্রবল আপত্তি। সানি আর রকির ঝগড়া লাগল। দল ভাঙলো। সতেরো বছরের সানি কুড়ি বছরের গুড়িয়াকে ছ’লাখ টাকা পণ দিয়ে বিয়ে করে বসল।গুড়িয়া ভাল ইংরাজি জানে। ব্যাঙ্ক-র কাজ কারবার করতে সুবিধা হবে। কিন্ত সহ্য হল না রকির। রকি মারফৎ সানির কান্ড জানল পুলিশ। বিয়ের পিড়ি থেকে সানিকে তুলে নিয়ে গেলো জামতারার নতুন এস পি ম্যাডাম ডলি সাউ।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উত্তেজনা পুরো ওয়েব সিরিজটিতে। সুন্দর ফটোগ্রাফি । কিন্ত কিছু জায়গায় পরিচালনায় ফাঁক থেকে গেছে। পুলিশ মাঝে মাঝেই প্রটোকল ভেঙে ডিটেক্টিভ সেজে ফেলেছে। কিছু চরিত্রও অনাবশ্যক চলে এসেছে । তবে অভিনেতা অভিনেত্রীদের ভালই লাগবে।