রপ্তানিতেও এগোচ্ছে বাংলাদেশ
কথায় আছে খালি পেটে জল আর ভরা পেটে ফল। বাংলাদেশের মানুষ এখন খালি পেটেও ফল খাচ্ছেন,ভরা পেটেও ফল।আরে বাবা ইমিউনিটি তো বাড়াতে হবে। করোনায় শরীরটাকে তো রাখতে হবে। “ক্রয় ক্ষমতা কমেছে মানুষের কিন্তু ফলের চাহিদা বাড়ছে হু হু করে বাংলাদেশ জুড়ে।আপেল, আঙ্গুর, কমলা লেবু, নাশপাতি হট কেকের মতো বিকোচ্ছে দেশ জুড়ে।” জানালেন ঢাকার ফল বিক্রেতা আলতাফ শেখ। এখন রোজা চলছে , পয়লা আগস্ট ঈদ। ফলে ফলের বাজার ভবিষ্যতে আরও চাঙ্গা হবে বলে আশা ফল বিক্রেতাদের।আর ঠিক এই সব কারণেই ফল আমদানি বেড়ে গেছে বাংলাদশে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকছে টাটকা তাজা বিদেশি ফল।
চিলি, চিন, মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মূলতঃ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিদেশি ফল ঢুকছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সবথেকে বেশি আমদানি হচ্ছে মাল্টা ও আপেল। মার্চ থেকে জুন প্রায় ৮০ হাজার টন আপেল আমদানি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। শুনলে অবাক হবেন, বাংলাদেশে আপেল আমদানি বেড়ে গিয়েছে ৪৪ শতাংশ। এদিকে ডালিম ,কমলা, নাশপাতি, আঙুর ইত্যাদির রপ্তানি ৯২ শতাংশ বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার টনে।
বিদেশি ফলের আমদানি বাড়ায় বিশ্বে আমদানির তালিকায় উন্নত হয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, আপেল আমদানিতে বিশ্বে এখন তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। তিন বছর আগেও বাংলাদেশের স্থান ছিল সপ্তম। এদিকে মাল্টা আমদানিতে বাংলাদেশ অষ্টম থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে।
বেশ কয়েক জন আমদানিকারকের মতে, বিদেশি ফল এখন মানুষের নাগালের মধ্যে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে কেজি প্রতি আপেলের দর যাচ্ছে ১০০- ১৫০ টাকা। অবশ্য ইদানিং চাহিদা বাড়াতে দাম বেড়েছে কিছুটা।
ঢাকার ফল বিক্রেতাদের মতে বাংলাদেশ এ ফলের বাজার সারা বছরই চাঙ্গা। তবে ভরা মরশুমে ফলের চাহিদা বাড়ায় খুশি সবাই। এদিকে বিদেশি ফলের চাহিদা বাড়ায় মাল্টা সহ অনেক ফলেরই চাষ শুরু হয়েছে দেশে। কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর, বছরে ২০ হাজার টন মাল্টা উৎপাদন হচ্ছে দেশে।সারা দেশে গত আর্থিক বছরে সোয়া এক কোটি টন ফল উৎপাদন হয়েছে। এ বছর তা ৭ – ৮ শতাংশ বাড়তে পারে বলে আভাস কৃষি কর্মকর্তাদের।
“এভাবে চললে অন্তত ফলের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই বাংলাদেশকে অন্য দেশের ওপর খুব একটা নির্ভরশীল হতে হবে না”,এমনই আশা ফল উৎপাদন প্রকল্পের পরামর্শক এস এম করুজামান এর। স্বাস্থ্য সচেতনতা মানুষের মধ্যে ক্রমশঃ যে বাড়ছে তাতে খুশি সব মহলই।