কলকাতা ব্যুরো: আমেরিকায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে বাঁকুড়ার মেয়ে আকাঙ্খা শর্মাকে ভুলিয়ে নিয়ে গিয়ে ভূপালের বাড়িতে খুন করে ঘরেই পুঁতে দিয়ে বেদী তৈরি করে তাকে টিভি রাখার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করছিল উদয়ন দাস। ২০১৬ এ শ্বাস রোধ করে আকাঙ্খাকে খুনের ঘটনায় উদয়নকে দোষী সাব্যস্ত করলো বাঁকুড়া আদালত। আজ বাঁকুড়া ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সুরেশ বিশ্বকর্মা তাঁর যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেন।
এ রাজ্যের বাঁকুড়া থেকে দিল্লি হয়ে ভূপাল ও ছত্তিশগড়-একটি অপহরনের অভিযোগ ঘিরে জুড়ে গেল চার রাজ্য। একটি নয়, কিনারা হলো তিনটি খুনের। ২০১৭ সালে প্রকাশ্যে আসা এই ঘটনায় হইচই পরে যায় গোটা দেশে। একটি রাজ্যের, একটি জেলার পুলিশের এত বড় ‘ব্রেক’ প্রশংসা পায় ভিন রাজ্যেও।
গোটা ঘটনা শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। প্রবাসী এক বাঙালি পরিবারের কালো ছেলের পরিবারের প্রতি, সমাজের প্রতি ক্রোধ, ঘৃণা তাকে কতটা নৃশংস ঠান্ডা মাথার খুনি করতে পারে তা জানতে হলে পড়তে হবে এ ঘটনা।
আবার এক মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণীর স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছে। সেই লক্ষ্য পূরণে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হওয়া এক যুবকের পাতা ফাঁদে পা দেওয়া। তাঁর প্রেমে বিশ্বাস। বাড়ির অমতে শুধু আমেরিকার হাতছানিতে সব কিছু ছেড়েছুড়ে সেই মেয়ে পৌঁছে গেল যুবকের ভুপালের বাড়িতে। করে ফেললো বিয়ে। কিন্তু আমেরিকার ফ্লাইট আর কবে ছাড়বে? সেই তরুণ জানিয়েছিল, তার বাবা-মা থাকেন আমেরিকা। হঠাৎ একদিন ঘর থেকেই মেয়ে উদ্ধার করলো সেই বাবা-মায়ের পাসপোর্ট। উঠে আসে উদয়নের নৃশংসতার রূপ। সত্যি জেনে ফেলার মূল্য আকাঙ্ক্ষাকে দিতে হলো জীবন দিয়ে।
গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ গল্প জানতে আজ সন্ধ্যায় নজর রাখুন আমাদের ক্রাইম ডাইরি সেগমেন্টে।