কলকাতা ব্যুরো: বোমাবাজি, পুলিশের ওপর হামলা, গুলি চালানোর ঘটনা–এই নিয়েই ষষ্ঠ দফার ভোট শেষ হল বৃহস্পতিবার। এ দিন চার জেলায় ৪৩ টি আসনে নির্বাচন হয়। সকাল থেকেই দুপক্ষের হাতাহাতিতে সরগরম হয়ে ওঠে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। টিটাগড়ে ব্যাপক বোমাবাজি করে একদল দুষ্কৃতী। ব্যারাকপুরে বিজেপি এবং তৃণমূল সংঘর্ষে এক বিজেপি সমর্থকের পা ভেঙে লিচু বাগান এলাকায়।
বিজপুর এর কাঁচরাপাড়া এলাকায় বিজেপি- তৃণমূলের দলীয় অফিস ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনায় বাগদায় দিনের শেষে দু’পক্ষের হামলা ঠেকাতে গেলে পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়। আহত হন পুলিশ সহ ওসি। পুলিশ গুলি চালালে তিনজন জখম হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে।
উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়া নদীয়া বা উত্তর দিনাজপুরে বড় গোলমাল এর খবর না পাওয়া গেলেও, পূর্ব বর্ধমান মন্তেশ্বর সরগরম হয়ে ওঠে যুযুধান দু’পক্ষের গোলমালে। সেখানেও আধাসামরিক বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তার আগে থেকেই বিভিন্ন পক্ষের প্রার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে গোলমাল চলছে। ব্যারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী স্ত্রীর করোনা ধরা পরার পরেও কেন তিনি প্রকাশ্যে বেরিয়েছেন, সেই নিয়ে অভিযোগ তোলে বিজেপি। অন্যদিকে বীজপুরে বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়কে হেনস্তা করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।
বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুরে -৭৭.৭৬%, নদিয়া—৮২.৬৭% , উত্তর ২৪পরগনা–৭৫.৯৪%, পূর্ব বর্ধমান–৮২.১৫% ভোট পরেছে। সব মিলিয়ে ৪৩ টি বিধানসভায় বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পরেছে ৭৯.০৯%।