Close Menu
Kolkata361°
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Follow Us
  • Facebook
  • Twitter
  • YouTube 733
  • WhatsApp
Facebook X (Twitter) Instagram
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp
Kolkata361°
Subscribe Login
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Kolkata361°
You are at:Home»এক নজরে»বিভূতিভূষণকেও স্কুল থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছিল
এক নজরে

বিভূতিভূষণকেও স্কুল থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছিল

adminBy adminSeptember 12, 20222 Comments4 Mins Read
Facebook Twitter WhatsApp Email
Share
Facebook Twitter Email WhatsApp
 গ্রামীণ জীবনের অসামান্য রূপকার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কথাশিল্পী হিসেবে আশ্চর্য রকম সফল। গ্রামীণ জীবনের শান্ত, সরল, স্নিগ্ধ ও বিশ্বস্ত ছবি ফুটে ওঠে তাঁর নিরাসক্ত কথকতা ও বয়ানে, চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে পাঠকমন, মুগ্ধ করে, বিস্মিত করে। কিন্তু পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ্যক, ইছামতির মতো অসামান্য সব উপন্যাসের রচয়িতা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় লেখালেখি ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নানা ধরণের কাজ করেছেন। কিছুদিনের জন্য মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী কেশোরাম পোদ্দারের গো-রক্ষক সভার প্রচারক হিসাবে কাজ করেন। পরবর্তীতে পাথুরে ঘটার জমিদার খেলাতচন্দ্র ঘোষের বাড়িতে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন এমনকি ভাগলপুর জঙ্গলমহলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদেও নিযুক্ত হয়েছেন। তবে তিনি বেশি সময় শিক্ষকতাই করেছিলেন।

হুগলির জাঙ্গীপাড়া দ্বারিকানাথ হাইস্কুলে বিভূতিভূষণ তখন শিক্ষকতা করেন। উল্লেখ্য, বিভূতিভূষণ জাঙ্গিপাড়া দ্বারিকনাথ হাই স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। বিভূতিভূষণ ১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক সন্ধ্যায় জাঙ্গিপাড়ায় পৌঁছন। সেদিন তাঁর সঙ্গে এসেছিলেন বন্ধু ননীমাধব চক্রবর্তী। দু’জনে হাওড়া ময়দান থেকে মার্টিন রেল চড়ে এখানে এসেছিলেন। জানা যায় শিক্ষকতা করতে আসার আগেও বিভূতিভুষণ জাঙ্গীপাড়াএসেছিলেন। সেবার তাঁর সঙ্গী ছিলেন নীরদ সি চৌধুরী। তবে জাঙ্গিপাড়া বাস বিভূতিভূষণের সুখের হয়নি।

কিছুদিন আগেই তাঁর স্ত্রী মারা গিয়েছেন। মাঝে মাঝেই তিনি স্ত্রীর উদ্দেশে প্ল্যানচেট করতেন। সে সময় স্কুলের অস্থায়ী প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন সিংহরায় শিক্ষকতা ছেড়ে ওকালতি পেশায় ফিরতে চান। তাঁর ইচ্ছা বন্ধু ও ছাত্র দরদি শিক্ষক বিভূতিভূষণ ওই পদে বসুক। অন্যদিকে  বিএ পাশ বিভূতিভূষণের বদলে ওই গ্রামের সদ্য এমএ পাশ করা রাজকুমারকে তাঁর একদল অনুগামী ওই পদে বসাতে চাইলেন। বিভূতিভূষণকে সরাতে তাঁর প্ল্যানচেট করাকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হলো। শ্রীরামপুরের সাব-ডিভিশনাল অফিসারকে জানানো হল একজন স্কুল শিক্ষক ভূত-প্রেত নিয়ে খেলা করেন। এসডিও সাহেব তদন্ত শুরু করলেন। 

এরপর স্কুল কমিটির সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুসারে রাজকুমার ভড় হলেন প্রধান শিক্ষক। নতুন প্রধান শিক্ষকের তৈরি এক রিপোর্টের ভিত্তিতে স্কুল-কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিল তা একটি বন্ধ খামে বিভূতিভূষণকে ধরিয়ে দেওয়া হল। খাম খুলে বিভূতিভূষণ দেখলেন, তাতে লেখা আছে,  ‘বিভূতিভূষণ ব্যানার্জি ইজ্ আন-স্যাটিসফ্যাকটোরি অ্যাজ এ টিচার, সো হি সুড বি রিমুভড ফ্রম দি টিচিং স্টাফ’।  ছাত্ররা বিভূতিভূষণকে ছাড়তে নারাজ। কিন্তু তা বললে তো হয় না। অপমানিত বিভূতিভূষণের আর কোনো উপায় রইল না। প্রধান শিক্ষকের আপত্তিতে স্কুলে তাঁকে ফেয়ারওয়েল দেওয়ার অনুমতিও পেল না ছাত্ররা। তবে ওই গ্রামেরই মহেন্দ্র সাঁপুইয়ের আটচালায় চোখের জলে তাদের প্রিয় শিক্ষককে বিদায় জানায় ছাত্ররা।  আত্মঘাতী বাঙালি কতখানি মূঢ় অথবা পাঁজি যে তাঁরা ‘পথের পাঁচালী’-র স্রষ্টাকে পর্যন্ত এভাবে অপদস্ত করতে পারে।

ভারাক্রান্ত মনে বিভূতিভূষণ কলকাতায় ফিরে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের সুপারিশে ফের শিক্ষকতার চাকরি পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হরিনাভি অ্যাংলো সংস্কৃত স্কুলে। সহজ সরল উদাস প্রকৃতির এই মানুষটিকে তাঁর চেয়ে ১১-১২ বছরের বড়, এই গ্রামেরই গৃহবধূ নিভাননী নিজের ভাইয়ের মতোই স্নেহ করতেন। হরিনাভি থাকার সময় বিভূতিভূষণের মাতৃ-বিয়োগ ঘটলে সেই স্নেহ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু গ্রামের মানুষের সংকীর্ণতা ও কূট রাজনীতি বিভূতিভূষণের পিছনে উঠে পরে লাগে। হরিনাভিতে থাকাকালীনই ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় বিভূতিভূষণের ‘উপেক্ষিতা’ নামে একটি গল্প প্রকাশিত হয়। সেই গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্রে ছিল নিভাননী-র ছায়া।  গ্রামে গুঞ্জন শুরু হয়, মাস্টার গ্রামের বউকে নিয়ে কাগজে কেচ্ছা ছাপাচ্ছেন।

এরপর একই পত্রিকায়  ‘উমারাণী’ নামে আরেকটি গল্প ছাপা হলে গ্রামে রটে যায় ওই গল্প নাকি নিভাননীর মেয়ে অন্নপূর্ণাকে নিয়ে লেখা। রটনা লোকে বলতে লাগল যে, শুধু বউ নয়, গাঁয়ের কমবয়সি মেয়েদের নিয়েও মাস্টার কেচ্ছা চালাচ্ছেন। এরপর বিভূতিভূষণ একটি ইস্তফাপত্র লিখে স্কুল ছুটির পর তা তুলে দিলেন হেডস্যারের হাতে। কোনও অনুরোধেই আর বিভূতিভূষণকে আটকে রাখা যায় নি। চাকরি জীবন শুরু করেছিলেন শিক্ষকতা দিয়ে। কিন্তু পরপর দুটি জেলার দুটি স্কুলে বিভূতিভূষন জীবনে যে অভিঙ্গতা অর্জন করলেন তাতে গ্রামের সমাজ জীবন সম্পর্কে তার ঘেন্না বিদ্বেষ জন্মানোরই কথা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় তা হয় নি, বরং গ্রাম্য জীবনকে তিনি এঁকেছিলেন মনের নীবিড় রঙ দিয়ে।  

পরবর্তী চাকরিও কিছুদিনের জন্য মাড়োয়ারি কোটিপতি ব্যবসায়ী কেশোরাম পোদ্দারের গো-রক্ষণী সভার প্রচারক হিসেবে! দেশ ঘুরে ঘুরে সাধারণ শ্রোতাদের সামনে গো-জবাইয়ের বিরুদ্ধে বক্তৃতা। এরপর পাথুরে ঘটার জমিদার খেলাতচন্দ্র ঘোষের বাড়িতে শিক্ষক, সেখান থেকে তাদেরই ভাগলপুর জঙ্গলমহালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হয়ে ভাগলপুর। এস্টেটের কাজের মধ্যে ছিল, জঙ্গল আবাদ, জমির বিলি বন্দোবস্ত, তহসিলের তহবিল ঠিক রাখা, মাইলের পর মাইল ঘোড়ার পিঠে ঘুরে ঘুরে মহলের তদারকি। একজন লেখকের জন্য অদ্ভুত চাকরি হলেও দূরে পাহাড়, জঙ্গল আর বিস্তীর্ণ প্রান্তর ঘেরা পরিবেশ বিভূতিভূষণকে কল্পনাপ্রবণ করে তোলে। তিনি ‘বিচিত্রা’-য় ধারাবাহিকভাবে লিখতে লাগলেন ‘পথের পাঁচালী’। প্রিয়তমা স্ত্রীকে প্ল্যানচেট করার দায়ে স্কুল এবং গ্রামে অপমানিত হয়ে বিতাড়িত হয়েছেন। অথচ বিভূতিভূষণের সাহিত্যে যত শ্রেষ্ঠ চরিত্র তারা সবাই গ্রাম্য জীবনেরই মানুষ। সে গুলোর অনেকের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ পরিচয়ও আছে! অপু-দুর্গা তো আমাদের অনেকের কাছেই চিরচেনা চরিত্র।

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Email
Previous Article#StockMarket :গ্যাপ আপ দিয়ে শুরু Share Market সূচক
Next Article #StockMarket :সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেও গ্যাপ আপ Share Market-এ
admin
  • Website

Related Posts

June 14, 2025

ফুটবলপ্রেমী চে গুয়েভারা  

3 Mins Read
June 13, 2025

কেন ভেঙে পড়লো এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান

3 Mins Read
June 10, 2025

আরও নানা ধরনের গোয়েন্দা

4 Mins Read
June 8, 2025

কেন বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ট্রাওরেকে নিয়ে এত কথা  

4 Mins Read
View 2 Comments

2 Comments

  1. anupam pramanik on September 12, 2022 9:29 pm

    বিএ পাশ করার পর কিছু দিন শিক্ষকতা করেছিলেন। এক জায়গায় কোনও কাজ করা তাঁর ধাতে ছিল না। অনেকটা একঘেয়েমি কাটাতেই শুরু করলেন লেখালেখি। একঘেয়েমি কাটাতে লিখতে বসে পাঁচশো পাতা লিখে শেষও করলেন। নাম দিলেন ‘পথের পাঁচালী’।

    Reply
  2. baren talukdar on September 12, 2022 11:58 pm

    জাঙ্গিপাড়া দ্বারকানাথ হাইস্কুলে যখন পড়াতেন, তখন তাঁকে ঘিরে কয়েকজন জুটে যায় পরলোকচর্চায়। অন্ধকার ঘরে টেবিল পেতে তাঁরা মোমবাতি জ্বালিয়ে বসতেন। বিভূতি এক একদিন ডেকে আনতেন পরলোক থেকে প্রিয়দের। কিন্তু সেই প্রেতচর্চাই কাল হল তাঁর।

    Reply
Leave A Reply Cancel Reply

Archives

ফুটবলপ্রেমী চে গুয়েভারা  

June 14, 2025

কেন ভেঙে পড়লো এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান

June 13, 2025

আরও নানা ধরনের গোয়েন্দা

June 10, 2025

কেন বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ট্রাওরেকে নিয়ে এত কথা  

June 8, 2025

লক্ষ লক্ষ গাছ লাগালেই কি পরিবেশ রক্ষা পাবে?  

June 5, 2025

ইলিয়ারাজাঃ সঙ্গীত, সমাজ, রাজনীতি এবং

June 3, 2025
  • Login
  • Register
Pages
  • Home
  • About us
  • Disclaimer
  • Terms and Conditions
  • Contact
Kolkata361°
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp RSS
© 2025 by kolkata361.in

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

Sign In or Register

Welcome Back!

Login to your account below.

Lost password?