Close Menu
Kolkata361°
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Follow Us
  • Facebook
  • Twitter
  • YouTube 733
  • WhatsApp
Facebook X (Twitter) Instagram
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp
Kolkata361°
Subscribe Login
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Kolkata361°
You are at:Home»এক নজরে»ব্যতিক্রমেরও ব্যতিক্রমঃ সাকিনা
এক নজরে

ব্যতিক্রমেরও ব্যতিক্রমঃ সাকিনা

স্বাতী রায়By স্বাতী রায়March 6, 2024Updated:March 6, 2024No Comments7 Mins Read
Facebook Twitter WhatsApp Email
Share
Facebook Twitter Email WhatsApp

কথাটা খুব ভারি শোনালেও বস্তুত সত্য। বাংলার মেয়েদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের ইতিহাস সম্পূর্ণ হয় না জাত-ধর্ম-শ্রেণীর দর্পণে ইতিহাসকে দেখলে। শুধু হিন্দু মেয়েদের ইতিহাস দেখলে হবে না, পাশে পাশে দেখা দরকার খ্রিস্টান, ব্রাহ্ম, মুসলমান ও আরও বঙ্গভূমের বিভিন্ন ধর্মের মেয়েদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসও। সেই সঙ্গে অভিজাত ও অনিভিজাত মেয়েদের কথাও ঢুঁড়ে আনা দরকার। আর ভুলে গেলে চলবে না খাঁটি বঙ্গজ সন্তানদের সঙ্গে মিশ্র রক্ত জাত সন্তানদের বা কসমোপলিটন বাংলার ভিন্নভাষী মেয়েদেরও। প্রতিটি পরিচিতিই আসলে এক সেট চ্যালেঞ্জ মুছে দেয় আবার নতুন এক সেট চ্যালেঞ্জের জন্ম দেয়। প্রথম দিককার প্রায় প্রতিটি মেয়েকেই অনেক বাধা ঠেলে এগোতে হয়েছে। তবে তারও মধ্যে কারোর বাধা কম কারণ তাঁর পরিস্থিতি তার পথচলার সহায়, কারোর কারোর আবার সে সৌভাগ্য হয় না। কাজেই সেখানে বিদ্যাসাগর বা রোকেয়া যদি পুজোর আসনে বসেন, তাহলে সেই বেদীতে ছোট্ট একটা মুর্তি থাকা দরকার মতুয়াদের হরিচাঁদ ঠাকুরেরও, এবং এরকম আরও অনেকেরই, নাহয় তাঁরা নাই বা হলেন এই বাবদে পথ-প্রদর্শক।

আবার অনুকূল পরিস্থিতিতে জন্ম হলে ধর্ম-জাত বা শ্রেণী নির্বিশেষে মেয়েরা যে শুধু লিঙ্গ পরিচয়ে আটকে থাকে না তার প্রমাণ সে আমলের বহুজন দিয়েছেন। তাঁদের দলেই আছেন মুয়াইদজাদা বোনেরা। এঁদের বাবা ছিলেন বিশিষ্ট পার্সি, আরবি ও অন্যান্য মুসলমানী ভাষায় পন্ডিত মুওয়াইদ-উল-ইসলাম জালাজুদ্দিন-আল-হোসেইনি। ইরানের শাহ কাজারের রাজত্বকালের শেষ দিকে জালালুদ্দিন ইরান থেকে কলকাতায় পালিয়ে আসতে বাধ্য হন। ইংরেজরা তাঁকে এদেশে ঢুকতে অনুমতি দেয় এই শর্তে যে তিনি কলকাতা ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না। কলকাতায় এসে তিনি সুবিখ্যাত হাবলাল মাতিন (Habl-al Matin, ১৮৯৩ -১৯৩০) নামের একটি ফার্সি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র চালু করেন। কলকাতা থেকে তখন তেহেরানে কাগজ যেত। বলা হয়, এই পত্রিকাটি একদা পারস্যের সব থেকে প্রভাবশালী সংবাদপত্র। দুঃখের বিষয় এই সংবাদপত্র বিষয়ে যতটুকু যা খবরাখবর পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই অজানা বিদেশী ভাষায় লেখা। ফলে এই সংবাদপত্রের বিষয়ে তেমন কোন খবর এখানে দেওয়া গেল না। অবশ্য তিনি ফার্সির পাশাপাশি উর্দু ও ইংরাজি কাগজও বার করতেন। জালালুদ্দিন ছিলেন আধুনিক শিক্ষাদীক্ষার সমর্থক। তাঁর মনোভাবের আধুনিকতার প্রমাণ তাঁর কন্যারা। সমকালীন প্রথা মেনে কন্যাদের মায়েদের হদিশ অবশ্য মেলে না।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিধ দলিল-দস্তাবেজ থেকে পাওয়া যাচ্ছে, ১৯১৮ সালে ডায়সেশন স্কুলের থেকে ইন্টারমিডিয়েট (আর্টস) পরীক্ষায় বসেছেন বেগম সুলতানা মুয়াইদজাদা। তাঁর সুবিধার জন্য সে বছর আইএ-র ভূগোল পরীক্ষার ডেট ফেলা হল ৪ঠা এপ্রিল ১৯১৮ তে, (কী সুবিধা তা অবশ্য রেকর্ডে নেই)। ফল বেরোলে দেখা গেল তিনিই মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে সেবছরের (১৯১৮) উমেশচন্দ্র মুখার্জী রৌপ্য পদক পেলেন। সেই সঙ্গে আর্টস ও সায়েন্স মিলিয়ে শিয়া মুসলমান হিসেবে পেলেন দুবছরের জন্য মাসে দশ টাকা করে সিনিয়র মোহসিন ফান্ড স্টাইপেন্ড। ইনি ১৯২০ সালে বেস্ট লেডি গ্রাজ্যুয়েট হিসেবে শান্তমণি (Santomani Medal) মেডাল পান। ১৯২৮ সালের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে তাঁর নাম জ্বলজ্বল করছে। মুসলিম মহিলা গ্রাজ্যুয়েট। এই প্রসঙ্গে স্মর্তব্য যে বাংলার ভূমিকন্যা ফজিলাতুন্নেসা কিন্তু গ্রাজ্যুয়েট হয়েছেন ১৯২৫ সালে। জেষ্ঠ্যা মুয়াইদজাদার নাম কোনদিনই প্রথম মুসলমান গ্রাজ্যুয়েট কন্যা হিসেবে শোনা যায় না, যদিও খুব সম্ভবত তাঁর জন্ম কলকাতাতেই। বাবা ভারতীয় তথা বঙ্গভাষী নন বলেই হয়ত!

এরপর ১৯২২ সালের জানুয়ারী মাসে বেগম সুলতানা মুয়াইদজাদা আইনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নন-কলেজিয়েট ছাত্রী হিসেবে সবার মধ্যে প্রথম হন এবং সে বছরই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে নন-কলেজিয়েট হিসেবে ১৯২৩ সালের আইনের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় বসার অনুমতি চান। ৯ই সেপ্টেম্বর ১৯২২ সালে তাঁকে অনুমতি দেওয়াও হয়। তবে এরপর বোধহয় তাঁর বেশিদূর আর বাঁধাধরা শিক্ষা হয়নি। কারণ ইতিহাস বলে রেগম সুলতানার ১৯২৩ সালে বিয়ে হয় এক খানদানী মুসলমান মীর আমিরুদ্দিনের সঙ্গে। তারপর তিনি ডিস্ট্রিক্ট ও সেশন্স জজ হিসেবে কর্মরত স্বামীর সঙ্গে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে চলে যান। যদিও তাঁর আর আইন পড়া হয়নি, তাই বলে তিনি এরপর অন্দরমহলের গোলোকধাঁধাঁয় হারিয়ে যাননি কিন্তু। দাক্ষিণ্যাত্যের মেয়েদের রাজনীতি ও শিক্ষার অধিকার বিষয়ে তিনি এক অগ্রগণ্যা মহিলা ছিলেন। ১৯৩৮ সালের মুসলিম ওয়ার্ল্ড-এ বেগম সুলতানা “Woman's Status in Islam – A Moslem View" এই শিরোনামের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধও লেখেন। এই প্রবন্ধটির যুক্তিসমূহ দেখলে মনে হয় আজকের পাঠকও হয়ত এটা পড়লে ভাবনার খোরাক পেতে পারেন। তবে বাংলার মেয়েদের উপর তাঁর প্রত্যক্ষ প্রভাব হয়ত ততটা ছিল না।

বঙ্গভূমে প্রভাব বিস্তারের কথাটা অবশ্য বেগম সুলতানার বোন সাকিনার ক্ষেত্রে খাটবে না। ১৯১৮-তে সাকিনা মুয়াইদজাদা ডায়াসেশন কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন ও এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট অফ বেঙ্গলের দেওয়া দশ টাকার বিশেষ জলপানির হকদার হন। পুরো নাম সাকিনা ফাররুখ সুলতান মুয়াইদজাদা। ১৯২০ সালের জুন মাসের কলকাতা গেজেট জানাচ্ছে যে সে বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নন-কলেজিয়েট ছাত্রী হিসেবে যে কটি ছাত্রী আইএ পাস করেছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন, লীলালতিকা ব্যানার্জী আর সাকিনা প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণদের মধ্যে তার সিরিয়াল নং ১২৮। সেই সঙ্গে তিনি একটা মাসিক ২০ টাকার স্পেশাল স্কলারশিপও পেলেন। ১৯২৩ সালের গেজেট থেকে জানতে পারি যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু পর্দানশীন মহিলাদের ফার্সী পড়ার উপযুক্ত কোন কলেজ নেই তাই সাকিনা ফারুক সুলতানা মুয়াইদজাদা ১৯২৪ সালে নন-কলেজিয়েট ছাত্রী হিসেবে ১৯২৪ সালে এম এ পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন করেছেন। ওই আবেদনপত্রের আলোচনাক্রমে জানা যায়, সাকিনা ১৯২২ সালে (ডায়াসেশন কলেজ থেকে রেগুলার ছাত্রী হিসেবেই) ইংলিশ অনার্স নিয়ে বিএ পাস করেছেন ও তিনি ছোটবেলা থেকেই তাঁর বাবার কাছে পার্সি শিখেছেন।

১৯২৩ সালের ২ রা ফেব্রুয়ারীর সিন্ডিকেট মিটিঙে বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর আবেদন বিবেচনা করে তাঁকে অনুমতি দেয়। ১৯২৪ সালের ফার্সী ভাষায় এম এ পরীক্ষায় আবার ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হিসেবে তাঁর নাম ঝকঝক করছে, এবং সেও আবার নন-কলেজিয়েট স্টুডেন্ট হিসেবে। বস্তুত গ্রাজুয়েশনের রেজাল্ট বেরোনোর আগেই সাকিনা হয়ে গেছেন সাকিনা ফারুক সুলতান মুয়াইদজাদা। ১৯৩৮ সালের আই এ পরীক্ষার ফার্সী ভাষার পরীক্ষকদের তালিকায় তাঁর নাম দেখা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত ১৯২৩ সালে শান্তমনি মেডাল যায় আরেক মুয়াইদজাদার হাতে। পুরো নাম সৈয়দ খয়ের সুলতানা মুয়াইদজাদা। সেই সঙ্গে তিনি ১৯২৩ সালে বেস্ট গ্রাজ্যুয়েট স্টুডেন্ট হিসেবে পদ্মাবতী গোল্ড মেডেলও পান। এই তথ্যও মেলে ১৯২৮ সালের ইউনিভার্সিটি ক্যালেন্ডার(পৃঃ ৩০১) থেকে। ইনিও পরীক্ষা দেন ডায়াসেশন কলেজ থেকে, নন-কলেজিয়েট ছাত্রী হিসেবে। ইনি পরবর্তীতে সুলতান নাজিরুদ্দীন হিসেবেও পরিচিত হয়েছেন। এঁদের পরের দুটি বোনও রুকেয়া কামার ও নাদেরা হুমায়ুনও বেজায় ধীমতি, রুকেয়া ১৯৩৩ সালে ডায়াসেশন কলেজ থেকেই (অবশ্যই নন-কলেজিয়েট হিসেবে) গ্রাজ্যুয়েট হন এবং আরবি বা ফার্সীতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার পরে কিং জর্জ এন্ড কুইন মেরি করোনেশন দরবার মেডেল পান। ১৯৪০ সালে তিনি দ্বিতীয় বিভাগে ইংলিশে এমএ পাশ করেন। নাদেরা অবশ্য ম্যাট্রিকুলেট পাশ করেই কলকাতা ছাড়েন। তবে চারটি মেয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পরে নাদেরা কেন কলকাতা ছেড়ে লখনৌ চলে গেলেন তাঁর উত্তর হয়ত ১৯৩০ সালে তাঁদের পিতার মৃত্যুতে। যাই হোক সাকিনার কথায় ফেরা যাক।

এমএ পাস করার পরে সাকিনার নাম কিছুদিনের জন্য চাপা পড়ে যায়। সাকিনার নাম আবার পাওয়া যায় ১৯২৮ সালের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে। মঞ্জু চট্টোপাধ্যায় তাঁর “বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের প্রথম মহিলা সংগঠকেরা- কিছু প্রশ্ন”(ইতিহাস অনুসন্ধান নামের সাময়িক পত্রে প্রকাশিত) জানিয়েছেন যে সাকিনার স্বামী মজিদ ছিলেন রংপুরের কমিশনার। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে কন্যা সহ তিনি কলকাতায় আসেন। এই পর্বে সাকিনার বাবা ১৯৩০ সালে মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন আগে অন্ধ হয়ে যান। সেই পর্বে বাবার কাগজের ডেপুটি এডিটর (দবীর-এ-তানি)-র হয়ে কাজ করেন সাকিনা। এই সময়ে তিনি বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজেও জড়িয়ে পড়েন। ১৯২৭ সালে তিনি সরোজনলিনী দত্ত মেমোরিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি হন। পাশাপাশি ১৯২৮ সালে তিনি আইনের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় হয়ে পাস করছেন, এও কিন্তু নন-কলেজিয়েট ছাত্রী হিসেবে। ভাবতে অবাক লাগে একজন মহিলা আইন পড়ছেন অথচ নন-কলেজিয়েট হিসেবে। পর্দানশীনতার বাধা নাকি নিয়মিত কলেজে যাওয়ার অসুবিধা থাকার কারণে? মাঝের খবর আর জানা নেই, জানা নেই কবে তিনি ফাইন্যাল ল পরীক্ষায় পাশ করলেন। তবে বেগম ফারুখ সুলতান মুয়াইদজাদা, এমএবিএল ১৯৩৫-৩৬ সালের মিনিস্ট্রি অফ লোক্যাল সেলফ-গভর্ন্যান্স-এর অর্ডারে ক্যাম্পবেল হাসপাতাল ভিজিট করার দলে ডাক পান। এরপর মডর্ণ রিভিউ পত্রিকা ১৯৩৪ সালের নভেম্বর মাসে জানাচ্ছে যে বেগম ফারুক সুলতানা সাকিনা মুয়াইদজাদা কলকাতা হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে যোগদানের যোগ্যতামান চেম্বারস এক্সামিনেশনে সফল হয়েছেন। কেউ কেউ বলেন যে তিনি বাংলার প্রথম মহিলা প্র্যাক্টিসিং আইনজীবী। তবে কর্নেলিয়া সোরাবজি বহুদিন আগেই এখানে পা রেখেছেন, যদিও তাঁর ব্যারিস্টার হিসেবে স্বীকৃতি এসেছে অনেক পরে, ১৯২৩ এর পরে। শোনা যায় সাকিনার ভাল প্র্যাকটিস ছিল। কিন্তু এই বিষয়ে কোনো বিশদ তথ্য হস্তগত হয়নি এখনও।

১৯৩৫ সালে জাইদি তাঁর বইতে লিখেছেন যে সাকিনা কিছুদিন সাখাওয়াত মেমোরিয়ালের দায়িত্বেও ছিলেন। এছাড়াও তিনি মজমৌল বানাত বলে একটি মেয়েদের সংগঠন বানিয়ে মুসলিম মেয়েদের উন্নতির জন্য চেষ্টা করেন। ১৯৩০-এর কলকাতা রাজনৈতিক ভাবে, সদ্য প্রস্ফুটিত সমাজ চেতনায় উত্তাল। ভারতীয় নারী জাগরণের প্রথম অধ্যায়ও বটে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনে ভারতীয়দের অংশগ্রহণ সরকারিভাবে স্বীকৃত হলে ১৯৩৩ সালে দ্বারকানাথ-কাদম্বিনী কন্যা জ্যোতির্ময়ী গাঙ্গুলি আর রাজনারায়ণ বসুর নাতনি, সঞ্জীবনী সম্পাদক কৃষ্ণকুমার বসুর কন্যা কুমুদিনী বসু কলকাতা পুরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলর হন। অবশ্য এরও আগে মিস এল আই লয়েড কলকাতা পুরসভার প্রথম নির্বাচিত মহিলা। এরপর ১৯৩৬ সালে সরকার ধর্মভিত্তিক পদ সংরক্ষণ চালু করলে সাকিনা কম্যুনিস্ট সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে, মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত সিটে কলকাতা পুরসভার ভোটে দাঁড়ান। হয়ত তাঁর আইনজীবী হওয়া, সক্রিয় সমাজ চেতনা, সাংগঠনিক ক্ষমতার প্রকাশের বৃহত্তর জায়গা খোঁজা সব মিলিয়েই এই সিদ্ধান্ত। এবং তিনি জিতেও যান। কম্যুনিস্ট পার্টির সমর্থনেই বা কেন? এইটা খুব পরিষ্কার নয়। তবে তিনি কখনো এঁদের সদস্য হননি। অবশ্য লীগ বা কংগ্রেসের সঙ্গেও তাঁর খুব বেশি দহরম-মহরম ছিল না, যদিও কংগ্রেসের ১৯৪০ এর রামগড় অধিবেশনের স্যুভেনিরে তাঁর লেখা পাওয়া যায়।

(বাকিটা আগামী সংখ্যায়)  

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Email
Previous Articleচারশো বছর ধরে সমুদ্রে ভেসে চলেছে
Next Article বাংলাদেশের ডায়েরি 
স্বাতী রায়

Related Posts

May 14, 2025

হারিয়ে যাওয়া মৃণাল সেন

4 Mins Read
May 12, 2025

কেন এত অস্ত্র, যুদ্ধ, মেধা অপচয় আর মানব হত্যা

4 Mins Read
May 9, 2025

রামকৃষ্ণদেবের জন্মশতবর্ষে রবীন্দ্রনাথের শ্রদ্ধা নিবেদন   

4 Mins Read
May 7, 2025

আহমদ ফারহাদের গোটা জমিটাই কি সেনাবাহিনীর 

3 Mins Read
Add A Comment
Leave A Reply Cancel Reply

Archives

হারিয়ে যাওয়া মৃণাল সেন

May 14, 2025

কেন এত অস্ত্র, যুদ্ধ, মেধা অপচয় আর মানব হত্যা

May 12, 2025

রামকৃষ্ণদেবের জন্মশতবর্ষে রবীন্দ্রনাথের শ্রদ্ধা নিবেদন   

May 9, 2025

আহমদ ফারহাদের গোটা জমিটাই কি সেনাবাহিনীর 

May 7, 2025

সাপ্তাহিক রাশিফল ( Weekly Horoscope )

May 5, 2025

কাশ্মীর ঘিরে ভারত পাকিস্তান সংঘাত

May 4, 2025
  • Login
  • Register
Pages
  • Home
  • About us
  • Disclaimer
  • Terms and Conditions
  • Contact
Kolkata361°
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp RSS
© 2025 by kolkata361.in

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

Sign In or Register

Welcome Back!

Login to your account below.

Lost password?