ইন্দ্রনীল বসু
প্রবীণ বলিউড তারকারা ত্রখন ভিড় জমাচ্ছেন ওয়েব সিরিজে। গুলজারের মাচিস এর চন্দ্রচূড় সিং এখন ওয়েব সিরিজ এর হিরো। আর মূল নায়িকা বাঙালি মিস ইউনিভার্স – সুস্মিতা সেন । সিরিজে সুস্মিতার জীবনকে কেন্দ্র করেই টান টান উত্তেজনা আর সাসপেন্স ড্রামা এখন কলকাতার ঘরে পৌঁছে দিয়েছে হটসটার অ্যাপ। চন্দ্রচূড়- সুস্মিতা জুটির আরযা ওয়েব সিরিজ করোনার বাজারের ঘ্যামা হিট।
আরযার বাবার ওষুধের কারবার। সেই ফার্মাসিউটিকালস কোম্পানির শুধু কি আর সাদা কারবার? কালো ও আছে। বেশিরভাগটাই তাই। জাল ওষুধের লেনদেন চলে। মেয়ের ( আরযা) অনিচ্ছা সত্ত্বেও জামাইকে কালা ধান্দায় ঢুকিয়ে দিলেন শ্বশুর।
চন্দ্রচূড় শ্বশুরের কলো কারবারের বেতাজ বাদশাহ। রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি ,গাড়ি , সঙ্গে এলাহি খানাপিনা। কিন্ত এ সব না-পছন্দ সুস্মিতার। দুই সন্তানের মা সে। শিক্ষিতা,বুদ্ধিমতী, রুচিশীল। বাবা আর স্বামীর কারবারের পরিণতি জানে সে। স্বামীকে বুঝিযে রাজি করায। পাপের কারবার ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে বিদেশ গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করতে রাজি হয় চন্দ্রচূড় ।
কিন্ত পাপ বাপকেও ছাড়ে না । চন্দ্রচূড়ের শালা আর শালার বন্ধু ববসায় পার্টনার । চুরি করে বসল তিনশো কোটি টাকার ড্রাগ। চন্দ্রচূড় বোঝানোর চেষ্টা করল অনেক। এই ড্রাগ মাফিয়াদের ফেরত দেওয়াই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। কিন্তু ভবী ভোলবার নয়। শালা আর তার বন্ধু অনড়। ড্রাগ বেচে সবার ভাগে একশো কোটি আসবে। ফল যা হবার ছিল তাই হল। বাড়ির সামনে শুট আউটে মারা গেল চন্দ্রচূড়। ছেলে মেয়েদের নিয়ে একা সুস্মিতা কি করবে এবার?
এই সিরিজে অনেক প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছেন পরিচালক। ভারতের বড়লোকি সমাজ ব্যবস্থাকে। লোভ, স্বার্থপরতা, লালসা, অবিশ্বাস কুরে কুরে খাচ্ছে এই সমাজটাকে। এখানে কেউ কারও নয়। টাকাই রাজা। মানবতা, সভ্যতা, লোকলজ্জা কিসসু অবশিষ্ট নেই।
হটসস্টারে দশটি এপিসোড নিয়ে রিলিজ হয়েছে আরয়া। সুস্মিতা- চন্দ্র চূড় দুজনই বড় অভিনেতা। চরিত্র অনুযায়ী মানানসই বেশ।
রেটিং ৮.৫