পন্ডিত যশরাজের জন্ম হরিয়ানার হিসার জেলায় এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। সালটা ১৯৩০। মাত্র চার বছর বয়স থেকেই তিনি সঙ্গীতে তালিম নিতে শুরু করেন। খুব ছোট বয়সেই তিনি নিজাম ওসমান আলি খানের দরবারে একজন সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর দাদা পন্ডিত প্রতাপ নারায়নের কাছে তবলার তালিমও নিয়েছিলেন পন্ডিতজি। হায়দ্রাবাদের কাটে জীবনের অনেকটা সময়। গুজরাটে যেতেন মেওয়াতি ঘরানায় তালিম নিতে। পরে ১৯৪৬ সালে কলকাতা চলে আসেন এবং আকাশবাণীর অনুষ্ঠানে গান করেন বহু বছর। সে সময় আলাপ বেগম আখতারের সঙ্গে। যশরাজজি কে বেগম আখতারই অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন সঙ্গীত শিল্পী হবার। আর সেই অনুপ্রেরণাই তাঁকে তবলা ছেড়ে পুরোপুরি ভাবে একজন পাকা সংগীতশিল্পী হতে সাহায্য করেছে। শুধু খেয়াল নয় , ঠুমরী নিয়ে কাজ করেছেন অনেক। প্রথম প্রথম অসুবিধা হত। সমালোচনাও শুনতে হয়েছিল, কেন অন্য ঘরানা টেনে আনছেন মেওয়াতির সঙ্গে। কিন্তু পরে এই যে দুটি ঘরানাকে মিশিয়ে গাওয়া সেটাই তাঁর বৈশিষ্ট্য হয়ে গিয়েছিল। পরে বহু ভজন এবং টেম্পল মিউজিকেও তিনি দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন। সঞ্জীব অভয়ংকর, অনুরোধ পারওয়াল, সাধনা সরগম সবাই তার কাছে কোনো না কোনো সময় তালিম নিয়েছেন।
Previous Articleকরোনার নয়া বিপদেও ভারত যোগ
Next Article বাড়ি ফিরলেন সেলিম
Related Posts
Add A Comment