কলকাতা ব্যুরো: শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবও করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি স্পেনের একটি হাসপাতালে ভর্তি ২০০ জন কোভিড-১৯ রোগীদের ওপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়। এন্ডোক্রিন সোসাইটির জার্নাল অফ ক্লিনিকাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ২০০ জনের ৮০ শতাংশ কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে ভিটামিন ডি-র স্বল্পতা পাওয়া গিয়েছে।

এই ভিটামিনের স্বল্পতার ফলে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এই ভিটামিনের অভাব রোগ প্রতি সূর্যরশ্মি থেকে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে এছাড়াও, এমন কিছু খাদ্য বস্তু আছে, যার ফলে এই ভিটামিনের অভাব দূর করা যায়।

গোরুর দুধ- এক গ্লাস গোরুর দুধে দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ ভিটামিন ডি থাকে। ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল গোরুর দুধ। তবে টোনড দুধের পরিবর্তে পুরো ফ্যাট যুক্ত দুধ থেকে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

দই- ইউএসডিএ নিউট্রিশন ডেটা অনুযায়ী দইয়ের মধ্যেও এই ভিটামিন পাওয়া যায়। ৮ আউন্সের মধ্যে ৫ আইইউ ভিটামিন ডি থাকে দইয়ের মধ্যে। তবে নানান স্বাদযুক্ত দইয়ের মধ্যে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। তাই দোকান থেকে কিনে আনার পরিবর্তে বাড়িতে পাতা দই খাওয়া বেশি উপযোগী।

কলমালেবুর রস- কমলালেবুর রসে ভিটামিন ডি ও সি –দুইই বেশি পরিমাণে থাকে। তবে বাড়িতে তৈরি টাটকা কমলালেবুর রসই স্বাস্থ্যের পক্ষে অধিক উপযুক্ত।
মাশরুম- সূর্যালোকেই মাশরুম বেড়ে ওঠে বলে, এটি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ হয়। এ ছাড়াও মাশরুমে ভিটামিন বি১, বি২, বি৫ ও কপারের মতো খনিজ থাকে। তবে মাশরুমের ধরণ ও প্রকারভেদের ফারাকে মাশরুমে ভিটামিন ডি-র মাত্রারও তারতম্য ঘটে।

ডিমের কুসুম- কুসুমে ক্যালরি ও স্নেপদার্থ বেশি হওয়া সত্ত্বেও, এতে অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান থাকে। ভিটামিন ডি-র পাশাপাশি এতে প্রোটিনও উপস্থিত। তবে দিনে একটি কুসুমের চেয়ে বেশি খাওয়া উচিত নয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version