কলকাতা ব্যুরো: ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশ। আর সেই কারনেই প্রথম থেকে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনে বেলারুশ পুতিনকে অবস্থানগত সুবিধা দিয়ে আসছে। এমনকী সম্প্রতি ইউক্রেনে আঘাত হানতে বেলারুশ থেকে রুশ পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপ করার ব্যাপারেও মত দিয়েছে সে দেশের সরকার। ইউক্রেন যুদ্ধে এভাবে রাশিয়ার প্রতি লাগাতার সমর্থন চালিয়ে গেলে তার খেসারত দিতে হবে বেলারুশ সরকারকে, এবার সরাসরি হুমকি আমেরিকার।

যাবতীয় শক্তি প্রয়োগ করে শক্তিশালী রুশ বাহিনীকে রোখার চেষ্টা করছে ইউক্রেন। ফলে দিন ছ’য়েকের যুদ্ধের পরেও রাজধানী কিয়েভ দখল করতে পারেনি পুতিন বাহিনী। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অসম লড়াই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে লাগাতার রাশিয়াকে সমর্থন করে যাওয়ায় বেলারুশকে একহাত নিল আমেরিকা।

ওয়াশিংটনের স্পষ্ট বার্তা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনকে যদি এভাবে সমর্থন করে চলে লুকাশেঙ্কো, তবে খেসারত দিতে হবে দেশের সরকারকে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বেলারুশ যে অবস্থান নিয়ে চলেছে তার প্রেক্ষিতেই সেদেশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোকে হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন হামলায় রুশ ফৌজ ঘাঁটি গেড়েছিল বেলারুশে। পুতিন এই দেশেই ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধান জেলেনস্কির সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন। এমনকী বেলারুশে পারমাণবিক ঘাঁটি করে ইউক্রেনে আঘাত হানার ব্যাপারেও পুতিনকে সমর্থন করেছেন লুকাশেঙ্কো।

একাধিক সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই রুশদের পাশে দাঁড়িয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে পারে বেলারুশ। এই পরিস্থিতিতেই বাইডেন প্রশাসন হুমকি দিল বেলারুশকে। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেলারুশের রুশ সমর্থন মাত্রাছাড়া পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। আমেরিকার হুঁশিয়ারি, এরপর তার মাশুল গুনতে হবে লুকাশেঙ্কোকে।

প্রসঙ্গত, সোমবার বেলারুশে টানা ৫ ঘণ্টা বৈঠক হয় ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে। দু’পক্ষই দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য রাজি হয়েছে বলে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক সূত্রের খবর। তবে বৈঠক শেষ হতেই ফের রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে খবর। কিয়েভ ও খারকভে আছড়ে পড়ছে মিসাইল ও গোলা। এমনকী সোমবার ভয়ানক ‘ভ্যাকিউম বম্ব’ ব্যবহার করেছে রাশিয়া, এমনটাই দাবি সূত্রের।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version