কলকাতা ব্যুরো: গত দু’দফায় ৩০ টি করে আসনে সাড়ে ৩০০ এবং প্রায় ৬০০ কোম্পানি বাহিনীকে নিরাপদে ভোট করাতে মাঠে নামিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। আর রাত পোহালেই তৃতীয় দফায় তিন জেলায় ৩১ টি আসনে নির্বাচন করাতে কমিশন মাঠে নামাচ্ছে ৮৩২ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর বাইরে আরও ২১৪ কোম্পানি কুইক রেসপন্স টিম মাঠে থাকবে, জরুরী ভিত্তিতে এলাকায় পৌঁছানোর জন্য। ফলে আগের থেকে এই দফায় গোলমালের আশঙ্কা কতটা রয়েছে, নির্বাচন কমিশনের বাহিনী তৎপরতা পরিষ্কার বলে মনে করছেন বর্ষিয়ান পুলিশ অফিসাররা। এই দফায় হুগলি গ্রামীণ এলাকার আটটি, হাওড়ার সাতটি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি অংশে ১৬ টি কেন্দ্রে নির্বাচন হবে।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বাহিনী নামানো হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। যেখানে হুগলি গ্রামীণ এলাকায় ১৬৭ কোম্পানি এবং হাওড়ায় ১৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে বারুইপুর পুলিশ জেলায়। ১৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় ১১৩ কোম্পানি এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার ৬৪ কোম্পানি বাহিনী নামাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
হুগলি এবং হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় ভোট ছাড়া এবার নজর সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। দ্বিতীয় দফায় এই জেলার মূলত সুন্দরবন লাগোয়া এবং বঙ্গোপসাগরে উপকূলের চারটি বিধানসভায় ভোট হয়েছে নির্বিঘ্নে। কিন্তু গ্রামীণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার১৬ টি বিধানসভায় তৃতীয় দফায় নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বিরোধীদল এতটাই শক্তিশালী যে, কোনভাবে ঝুঁকি নিতে চাইছে না কমিশন। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের রাখার পাশাপাশি বিশাল সংখ্যক বাহিনী রাখা হয়েছে, কুইক রেসপন্স টিমে। ফলে বঙ্গে রক্তপাতহীন নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তৃতীয় দফা থেকেই মূলত চ্যালেঞ্জ শুরু হয়ে গেল কমিশনের।