Close Menu
Kolkata361°
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Follow Us
  • Facebook
  • Twitter
  • YouTube 733
  • WhatsApp
Facebook X (Twitter) Instagram
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp
Kolkata361°
Subscribe Login
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Kolkata361°
You are at:Home»এক নজরে»হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী পাহাড় থেকে ঝুলন্ত মঠ
এক নজরে

হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী পাহাড় থেকে ঝুলন্ত মঠ

adminBy adminFebruary 21, 2025Updated:February 21, 2025No Comments4 Mins Read
Facebook Twitter WhatsApp Email
Share
Facebook Twitter Email WhatsApp

তুরস্কের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ট্রাবজোন প্রদেশের মাচকা জেলায় প্রায় ৪৮০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে পাইন, দেবদারু, বিচ, ওক ঘেরা এবং ভালুক, নেকড়ে, শিয়াল, হরিণের আবাসস্থলে সুমেলা মঠ কেবল মনোরম নয়, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ। প্রাচীনকাল থেকে এই অঞ্চলটি জনবসতিপূর্ণ এবং পন্টিক গ্রীক, রোমান, বাইজেন্টাইন, মঙ্গোল, সেলজুক, অটোমান এবং তুর্কিদের মতো অনেক সভ্যতার উত্থান-পতনের সাক্ষী। এই অঞ্চলটি সিল্ক রোডেরও অংশ ছিল, যা এশিয়া ও ইউরোপকে সংযুক্তকারী প্রাচীন বাণিজ্য রুটের নেটওয়ার্ক ছিল। এই অঞ্চলটি লাজ জনগণেরও আবাসস্থল, একটি স্বতন্ত্র ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের অধিকারী একটি জাতিগত গোষ্ঠী, যারা তাদের আতিথেয়তা, রসবোধ এবং সঙ্গীতের জন্য পরিচিত। চতুর্থ শতকে প্রতিষ্ঠিত এই মঠ খ্রিষ্টীয়দের প্রথম আগমনের ইতিহাস থেকে শুরু করে রোমান সাম্রাজ্যের বাইজেন্টাইন যুগ, অটোমান খেলাফতের উত্থান, প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর তুর্কি স্বাধীনতা সংগ্রামের সাক্ষী। পন্টিক পর্বতশৃঙ্গের ১ হাজার ফুট ওপরে ঝুলন্ত মঠটি ঘটনাবহুল তুরস্কের ইতিহাসের এক জীবন্ত সাক্ষী।

কুমারী মেরির মঠ নামেও পরিচিত সাড়ে ষোলশো বছরের প্রাচীন মঠটির নির্মাণের ইতিহাস এখনও সঠিক জানা যায়নি তবে মঠ ঘিরে রয়েছে নানা কিংবদন্তি। ঝুলন্ত মঠের মধ্যে রয়েছে ক্যাপেল, লাইব্রেরি, ঘণ্টাঘর, আবাসস্থল, উঠোন এমনকি জলস্রোতও। কথিত ৩৮৬ খ্রিস্টাব্দে বার্নাবাস ও সোপ্রোনিয়াস নামে দুজন ভিক্ষু স্বপ্নে দেখেন, পন্টিক পর্বতশৃঙ্গের একটি গোপন পাথুরে দেওয়ালে মাতা মেরি এবং যিশুর একটি ছবি আঁকা রয়েছে। পরে তারা পন্টিক আল্পসে গিয়ে মিলিত হন এবং দেয়ালচিত্রটি আবিষ্কার করেন। যিশু কোলে মেরির ওই ছবিটি এখনো পন্টিকের দেওয়ালে রয়েছে। ওই দুই ভিক্ষুককেই সুমেলা মঠের ভিত্তিস্থাপক বলে মনে করা হয়। তাদের আবিষ্কৃত গুহাটি শত শত বছর ধরে তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তবে সুমেলা মঠ হিসেবে আমরা এখন যে স্থাপনাকে চিনি তা ত্রয়োদশ শতকে এই অঞ্চলের শেষ খ্রিষ্টীয় শাসনামলে অর্থোডক্স ভিক্ষুদের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে অটোমান আমলে এটির আরও উন্নয়ন হয়। ইতিহাস বলছে, অটোমানরা মুসলিম হলেও তারা এই খ্রিস্টীয় স্থাপত্যটির কোনো ক্ষতি করেনি। এই মানসিকতা অটোমানদের পরমতসহিষ্ণুতাকে নতুন মাত্রা দিয়েছিল। অবশ্য আয়া সোফিয়াসহ অনেক গির্জাকে মসজিদে রূপান্তরের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা খ্রিষ্টানদের ধর্মচর্চায় কোনো বাধা দেয়নি বলেই জানা যায়। এমনকি অটোমানরা কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ খ্রিস্টীয় তীর্থস্থানকে পবিত্র হিসেবেই বিবেচনা করতেন এবং তাদের জমি দানসহ অন্যান্য সহযোগিতাও করছেন।

বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অধীনে এই মঠটি সমৃদ্ধি লাভ করে এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের কেন্দ্রে পরিণত হয়। এটি বেশ কয়েকবার সম্প্রসারিত এবং সংস্কার করা হয়, বিশেষ করে ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ শতাব্দীতে, যখন এটি ট্রেবিজন্ড সাম্রাজ্যের কোমনেনোস রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে। মঠটি অটোমান বিজয়ের পরেও টিকে ছিল এবং সুলতানদের অধীনে সহনশীলতা এবং সুরক্ষা পেয়েছিল। তবে, বিংশ শতাব্দীতে গ্রীস ও তুরস্কের মধ্যে জনসংখ্যা বিনিময় এবং পরবর্তীতে সন্ন্যাসীদের উপর নির্যাতনের কারণে মঠটি অবক্ষয় ঘটে এবং পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। আগুন এবং লুটপাটের কারণে মঠটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এর ধনসম্পদ চুরি বা ধ্বংস হয়ে যায়। অবশ্য সুমেলা মঠ এখন আর কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং তুরস্ক এটিকে জাতীয় যাদুঘর হিসেবে ঘোষণা করেছে। চমৎকার দর্শনীয় স্থানটি এখন হাজার হাজার পর্যটকের আগ্রহের কেন্দ্র। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক জায়গাটি ভ্রমণ করেন। এদের মধ্যে তীর্থযাত্রী যেমন আছেন, তেমনি রয়েছেন সাধারণ দর্শকও। প্রথম যুগের খ্রিস্টীয় চিত্রকলা এবং স্থাপত্যশৈলী পর্যটকদের অভিভূত করে।

১৯২০ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে অরক্ষিত অব্স্থায় থাকার ফলে মঠের ফ্রেস্কোগুলির ক্ষতি হয়, পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে অত্যন্ত নিপুণভাবে সংস্কার হয়। যদিও সংস্কারের কাজ শেষ হয়নি, বছর বছর ধরে সূক্ষ্ম পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে মঠটিকে সংস্কার করা চলছে, যাতে আগুন, লুটেরা বা দুষ্কৃতিকারীরা এর কোনো ক্ষতি করতে না পারে। ১৯৭২ সালে, মঠটিকে একটি জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৮৭ সালে এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয়। ২০১৫ সালে, মঠটি সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ২০২৩ সালে তুর্কি রাষ্ট্রপতি এবং কনস্টান্টিনোপলের একুমেনিক্যাল প্যাট্রিয়ার্কের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানের পর পুনরায় খোলা হয়। পুনরুদ্ধার প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল মঠের মূল বৈশিষ্ট্য এবং ফ্রেস্কো সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধার করা এবং দর্শনার্থীদের জন্য এটিকে আরও সহজলভ্য এবং নিরাপদ করা।

সুমেলা মঠের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকগুলির মধ্যে একটি হল এর স্থাপত্য, যা বিভিন্ন সময়কালের সংস্কৃতির এবং স্থাপত্য শৈলীকে প্রতিফলিত করে। মঠটি প্রায় ১২০০ মিটার উচ্চতায় একটি পাথরের উপর নির্মিত, যা আলতিন্দেরে উপত্যকা এবং জিগানা পর্বতমালাকে উপেক্ষা করে। মঠ কমপ্লেক্সে বেশ কয়েকটি ভবন রয়েছে, যেমন শিলা গির্জা, জলপ্রবাহ, গ্রন্থাগার, রান্নাঘর, ডাইনিং হল, অতিথি কক্ষ এবং সন্ন্যাসীদের কক্ষ। সবচেয়ে বিশিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন হল রক গির্জা, যেখানে ভার্জিন মেরির মূর্তি রয়েছে এবং এটি বাইবেলের দৃশ্য এবং সাধুদের জীবন চিত্রিত করে দুর্দান্ত ফ্রেস্কো দিয়ে। ত্রয়োদশ থেকে আঠারো শতকের এই ফ্রেস্কোগুলিকে আনাতোলিয়ায় বাইজেন্টাইন শিল্পের সেরা উদাহরণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সুমেলা মঠের স্থাপত্য কেবল তার সৌন্দর্য এবং কারুশিল্পের জন্যই অসাধারণ নয়, বরং প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যের জন্যও অসাধারণ। মঠটি পাথর, বন এবং নদীর সঙ্গে নির্বিঘ্নে মিশে গিয়েছে, যা একটি অত্যাশ্চর্য বৈসাদৃশ্য এবং বিস্ময়ের অনুভূতি তৈরি করে। মঠটি আশপাশের দৃশ্যেকেও অসাধারণ করে তোলে যা ঋতু এবং আবহাওয়ার সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। বসন্তকালে, যখন ফুল ফোটে এবং শীতকালে যখন তুষার পাহাড়গুলিকে ঢেকে দেয়, তখন মঠটি বিশেষভাবে মনোমুগ্ধকর হয়।

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Email
Previous Articleরাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সূচনা হয়েছিলো ভাষা আন্দোলনের
Next Article খুনে অভিযুক্ত থেকেও বেস্টসেলার লেখিকা
admin
  • Website

Related Posts

July 2, 2025

আরজি কর থেকে কসবা ল’কলেজ

3 Mins Read
June 30, 2025

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে যে কবি স্বপ্ন দেখেন

4 Mins Read
June 27, 2025

কোচবিহার জেলার রথ ও রথের মেলা  

3 Mins Read
June 25, 2025

মহাকাশ অভিযানের সফল যাত্রায় শুভাংশু শুক্লা

3 Mins Read
Add A Comment
Leave A Reply Cancel Reply

Archives

আরজি কর থেকে কসবা ল’কলেজ

July 2, 2025

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে যে কবি স্বপ্ন দেখেন

June 30, 2025

কোচবিহার জেলার রথ ও রথের মেলা  

June 27, 2025

মহাকাশ অভিযানের সফল যাত্রায় শুভাংশু শুক্লা

June 25, 2025

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত আলোচনায় ভারতের কিন্টুর গ্রাম

June 23, 2025

দুটি দেশের বন্ধুতা যেভাবে যুদ্ধে পরিণত হল

June 20, 2025
  • Login
  • Register
Pages
  • Home
  • About us
  • Disclaimer
  • Terms and Conditions
  • Contact
Kolkata361°
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp RSS
© 2025 by kolkata361.in

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

Sign In or Register

Welcome Back!

Login to your account below.

Lost password?