কলকাতা ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটে সুন্দরবনের কমপক্ষে ২৫ টি হরিণ ভেসে গিয়েছে। বকখালির অভয়ারণ্যে ফেন্সিং ভেঙে গিয়ে ওই হরিণগুলি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বলে জানিয়েছে বনদপ্তর। অন্যদিকে সুন্দরবনের বাঘকে গ্রামের থেকে দূরে রাখার জন্য যে নাইলনের ফেন্সিং দেওয়া হয়, তেমন অন্তত ২৫ কিলোমিটার এলাকার ফেন্সিং নদীর জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে রিপোর্ট দিল বনদপ্তর। তবে নদীর প্রবল জলোচ্ছাসের ফলে বাঘ কোথায় রয়েছে সে ব্যাপারে হদিশ পেতে মরিয়া বনদপ্তর। বনদপ্তর জানিয়েছে, বাঘ কোথায় আছে তার অবস্থান জানতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।


যদিও এই ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বিপদ তৈরি হয়েছে বাঘ, শুকর, বাঁদর, হরিণ সহ অন্যান্য জীব জন্তুর পানীয় জলের ক্ষেত্রে। বনদপ্তর এর হিসেব অনুযায়ী, বনি, কলস, সাজনাখালি, কুলতলি সহ বিভিন্ন বনদপ্তরের ক্যাম্পে জীবজন্তুদের পানের জন্য যে মিষ্টি জলের পুকুর রয়েছে, সেইসব গুলি সমুদ্রের জল ঢুকে নোনতা হয়ে গিয়েছে। ফলে জীবজন্তুদের পানীয় জল পাওয়ারে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবন ভাগবতপুর কুমির প্রকল্প ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখানকার প্রায় আড়াইশো মিটার সীমানা প্রাচীর ভেঙে গিয়ে বেশ কয়েকটি কুমির জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছিল। সেখান থেকে গ্রামের লোক তাদের ধরে বন কর্মীরা তাদের উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে সুন্দরবন ওয়াইল্ড লাইফ এলাকায় হরিণ এনক্লোজার বড় ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে ক্ষতি হয়েছে বনদপ্তর এর হেরোভাংগা বিট, মাতলা রেঞ্জ, বারুইপুরের পিয়ালী বিট, কুলতলী বিট, নলগোরা বিট, রায়দিঘি ও পাথরপ্রতিমা, রামগঙ্গা, লোথিয়ান ও ভাগবতপুর রেঞ্জ এবং উত্তর বকখালি ও বকখালি রেঞ্জ, সাগর, কানমারী, ময়না, পারা, নামখানা রেঞ্জের অফিসের। ১৫ টি বনদপ্তরের কোয়াটার সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গিয়েছে। ১৯ টি পানীয় জলের কলে সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে পড়েছে। একই সঙ্গে বনদপ্তর এর অফিস গুলির সোলার আলোর যন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছে।


প্রবল ঘূর্ণিঝড় এর সঙ্গেই নদীতে জল বাড়ায় সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ এর এলাকায় বনদপ্তর এর ১৮ টি স্থল ক্যাম্প চারটি রেঞ্জ অফিস ক্যাম্প এবং অন্যান্য অফিসগুলোতে অন্তত 10 ফিট জল ঢুকে পড়েছে এখানে জঙ্গলের মধ্যে বনদপ্তর এর অফিস গুলির লাগোয়া কুড়িটি মিষ্টি জলের পুকুরে নোনা জল ঢুকে গিয়েছে বুরিরদাব্রি পর্যটন কেন্দ্রে ওপরে ওঠে জঙ্গল দেখার টাওয়ার 50 মিটার ভেঙে পড়েছে
সবচেয়ে জঙ্গলের মধ্যে ক্ষতির মুখে পড়েছে জিলা বিদ্যা চামটা কাকমারি হরিখালী রামপুরা মত 15 বছরের অফিসগুলি বুঝবার পাঁচটি হরিণ একটি শুকর ও চারটি কুমির জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার করা হয়েছিল পাখিরালয় গোসাবায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বনদপ্তর এর।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version