কলকাতা ব্যুরো: মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচ। দর্শক ঠাসা স্টেডিয়াম। রবিবাসরীয় ডার্বিতে জমিয়ে দেওয়ার জন্য সব মশলাই মজুত ছিল। কিন্তু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই কোনো অংশেই উচ্চমার্গের হল না। সুমিত পাসীর আত্মঘাতী গোলে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসলো জুয়ান ফেরান্দো ব্রিগেড। ডুরান্ড কাপে প্রথম জয় পেল মোহনবাগান।
কনস্ট্যানটাইনের ইস্টবেঙ্গল এখনও অগোছালো। তুলনায় ফেরান্দোর মোহনবাগান অনেক আগে শুরু করেছে অনুশীলন। ফেরান্দো দলগঠনের ক্ষেত্রেও স্বাধীনতা পেয়েছেন। পছন্দের ফুটবলার নিয়ে এসে দল তৈরি করেছেন। ডুরান্ড কাপের তিন-তিনটি ম্যাচ হয়ে গেলেও মোহনবাগান কিন্তু এখনও ফুল ফোটাতে পারেনি। বিরতির ঠিক আগে লিস্টন কোলাসোর কর্নার সুমিত পাসির গায়ে লেগে গোল হয়ে যায়। সেই গোল আর শোধ করা সম্ভব হয়নি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে।
এদিন খেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মোহনবাগানের আক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে সবুজ-মেরুনের রক্ষণের সামনে একা হয়ে যান এলিয়ান্দ্রো। তাঁকে বল দেওয়ার কেউ নেই। প্রথমার্ধে লাল-হলুদ একবারই ইতিবাচক আক্রমণ তৈরি করেছিল। ইভান গনজালেজের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি।