কলকাতা ব্যুরো: শেষ দফার বিধানসভা ভোটে খবরের শিরোনামে থেকে গেল কলকাতাই। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় গোলমাল বোমা বাজি, ইট, হকি স্টিক, লাঠি দিয়ে মারামারি থেকে বাদ গেলো না প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ। সবচেয়ে বেশি গোলমাল জারি থাকলো বেলেঘাটা এবং মানিকতলা এলাকায়
অথচ সারা রাজ্যে যখন বুথ থেকে দূরে গোলমাল চলল্লে তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সে সব গোলমাল ঠেকাতে বা ভিড় সরাতে দেখা গেলেও, কলকাতা ছিল তার ব্যতিক্রম। হাতে গোনা দুই একটি জায়গা ছাড়া কলকাতায় সেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোথাও গোলমাল ঠেকাতে যেতে দেখা গেল না। পুলিশ ছিল প্রায় সর্বত্রই। আর সেই পুলিশের সামনেই দুপক্ষের মারধর এমনকি পাথর ছোড়া, একে অপর দলের সমর্থকরা পুলিশের সামনে অথচ আড়াল করে পেটা পিটি করতে থাকে।
মূলত বেলেঘাটা এবং মালিকতলার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সকাল থেকেই গোলমাল শুরু হয়। দুপুরের দিকে মানিকতলা এলাকায় সাধন পান্ডের মেয়ে, মডেল শ্রেয়া পান্ডে বাবার সমর্থনে রাস্তায় নামেন। তার অভিযোগ, তাদের সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও কমিশনের তরফ এ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে কে ঘিরে বিক্ষোভ হয় দফায় দফায়। বিজেপি সমর্থকদের বক্তব্য, তৃণমূল ছাপ্পা দিচ্ছে খবর পেয়ে তাদের প্রার্থী সেই বুথে যেতে মহিলাদের সামনে এগিয়ে দিয়ে তৃণমূল গোলমাল পাকাচ্ছে। আর মহিলারা সামনে থাকায় পুলিশ সেখানে কিছু করছে না। বিজেপি প্রার্থীকে হেনস্থা করা হচ্ছে মহিলাদের সামনে রেখে।
এন্টালির বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রিওয়ালের আবার অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ তার ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। তিনি যেখানে যেখানে যাচ্ছেন, আগেভাগে সেই এলাকার খবর তৃণমূলকে দিয়ে ওই এলাকায় ঝামেলা পাকানোর পথ তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলকাতা পুলিশের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে।
কলকাতায় এন্টালির তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় এর অভিযোগ তাকে বুথে ঢুকতে বাঁধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও সেই সামান্য অভিযোগ ছাড়া, আর তেমন কোনো গোলমাল সামনে আসেনি। সাংসদ স্বামীর সঙ্গেই প্রার্থী নয়না ভোট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কিছু এলাকায় ঘুরে দেখেন।
মহাজাতি সদনের সামনে বোমা ফাটার যে ঘটনা ঘটেছিল, কমিশনের কাছে রিপোর্ট অনুযায়ী, তা নিষিদ্ধ শব্দবাজি, কোনো বোমা নয়।