কলকাতা ব্যুরো: ওরা ঘরের কাজ করেন। নদীতে মিন এবং কাঁকড়া ধরতে গিয়ে কুমির-কামটের সঙ্গে লড়াইও করেন। আবার আয়লা বা আম্পানের পরেই ওঁরাই নদীবাঁধের মেরামতে হাত লাগান পুরুষদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে। আম্পান বিধ্বস্ত সুন্দরবনের প্রাণ ফেরাতে এখন সেই ওঁরাই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন গাছ লাগাতে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে এখন শুরু হয়েছে ঝঞ্ঝা বিধ্বস্ত সুন্দরবনে বৃক্ষরোপন। সেই উদ্যোগে একেবারে সামনের সারিতে সুন্দরবনের মেয়েরা। বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে গোসবার বালী দ্বীপের একেবারে শেষ প্রান্তে এক লাখ গাছ লাগানোর মন্ত্র নিয়ে এখন মাঠে নেমেছেন সবিতা, অনিমারা। লক্ষ্য, বিপর্যয়ের পর ফের সুন্দরবনের সবুজ ফেরানো। সেক্ষেত্রে বাঁচবে জল-জঙ্গলের না-মানুষরা। বাঁচবে মানুষ।
আয়লার পর কেটেছে এক দশক। কোনো রকমে নিজেদের টেনেটুনে দাঁড় করানোর আগেই আম্পান ফের থাবা বসালো সুন্দরবনে। বাড়ি-ঘর জমির ফসলের সঙ্গেই আম্পান খেয়ে ফেললো বাদাবনের একাংশ। উপরে গেল হাজার হাজার গাছ। ভাঙলো বাঁধ। ঢুকলো নদীর জল। আরও আলগা হলো মাটি। এই কাজে হাত লাগানো মেয়েদের কর্মসংস্থানের সঙ্গেই সবুজ ফেরাতে সুন্দরবন ফাউন্ডেশনও ভরসা রেখেছে সেই দশভুজাদের উপরেই।
আজ বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবসে কলকাতা ৩৬১-র প্রতিবেদন।