কলকাতা ব্যুরো : কোভিড পরিস্থিতি এমনই যে মানুষ ঘর থেকে বড় একটা বেরোবেন না। তাই পর্বত মহম্মদের কাছে না গেলেও মহাম্মদ এবার পর্বতের কাছে হাজির হচ্ছে। সুখবর আপনাদের সবার জন্য। অভিনব আয়োজন যোধপুর পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির। তারা মা কে নিয়ে রথে করে বেরিয়ে পড়বেন। সকালে শ্যামবাজার তো বিকেলে চেতলা। এই পাড়ায় বোধন তো ওই পাড়ায় সন্ধি পূজো। অতিমারি মানুষকে ভাবতে শেখাচ্ছে। নিত্য নতুন ভাবে পূজা করতে শেখাচ্ছে।
কথা হচ্ছিল যোধপুর পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক সুমন্ত রায়ের সঙ্গে। কলকাতার অন্য সব পুজোর মত বাজেটে কাটছাঁট করতে হয়েছে যোধপুর পার্ককেও। আগের বছরের বাজেট ছিল ৪২ লাখ টাকা। এবারে পূজো করতে হচ্ছে ১৮ লাখে। কর্পোরেটেরা আগে যে ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত এবারে তা আর সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষেও। সুতরাং পূজা কমিটিগুলো বাধ্য হচ্ছে অনেক কম বাজেটে পূজা সারতে।
এবারে যোধপুর পার্কের ঠাকুর রাখা থাকবে বড়ো একটি banquet হলে। বাংলার লোকশিল্প দিয়ে সাজানো থাকবে banquet হল। থাকছে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, মালদা ও বীরভূমের হস্তশিল্প প্রদর্শনী। সেখানে ঠাকুর দেখা যাবে। আবার মা তার সন্তানদের নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় বেরিয়েও পড়বেন। বিভিন্ন পাড়ার সঙ্গে কথা চলছে। চেষ্টা থাকবে সারা পুজোয় অন্ততঃ ৩৫ থেকে ৪০ টি জায়গায় প্রতিমা নিয়ে যাবার। কনসেপ্ট বাপাই সেনের। প্রতিমা তৈরি করছেন বাপী দাস। সব মিলিয়ে অভিনব এবং জমজমাট যোধপুর পার্কের পূজো।