কলকাতা ব্যুরো : ভয় নয়। করোনাকে জয়। এমনটাই মনোভাব চোরবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির সব সদস্যদের। এই পূজার সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত ব্যানার্জী জানালেন , এটাই বাঙালিদের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব। আর বাঙালির মেরুদন্ডের যে জোর আছে তা বোঝানোর সময়ও এটা। অত ভয় পেলে চলবে না। একটা অতিমারি চলছে। কিন্তু এর মধ্যেই কাজও চালিয়ে যেতে হবে। রজ্যসরকারের গাইডলাইন মেনেই পূজো হবে। ফেসবুক এ পূজো দেখাও যাবে। কিন্তু ভার্চুয়াল পুজোর যে কনসেপ্ট এসেছে তাতে তো আর ধুনো বা শিউলি ফুলের গন্ধ পাওয়া যাবে না। ” শুধু এইটুকু অনুরোধ করবো যারা পান্ডেমিকে আক্রান্ত তারা বাড়ি থেকে জেনেশুনে বের হবেন না। তাদের কষ্ট হবে জানি। কিন্তু কি করা যাবে? এ বছরটা তারা যদি বের না হন তবে অন্যদের সুবিধা হবে “, এমনটাই জানিয়ে দিলেন জয়ন্তবাবু।
চোরবাগান এই বার সবার আগে মণ্ডপ বানাতে শুরু করেছে। ২৮ জুন থেকে এখানে মণ্ডপের কাজ শুরু হয়। পুরো মণ্ডপই বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি হচ্ছে। তবে কাঠামো হচ্ছে লোহার। প্রায় ৪০ – ৫০ জন কাজ করছেন বাঁশের কঞ্চি কেটে আনার জন্য অনেকদিন ধরে। মণ্ডপ নির্মাণের কাজে আছেন ২০ – ২৫ জন। প্রতিমা নির্মাণ করছেন নব কুমার পাল।
এবারে চোরবাগানের থিম ” আগামী “। অর্থাৎ বর্তমান যার ভীত গড়ে তোলে। সাজো সাজো রব চারিদিকে। চেষ্টা চলছে স্পন্সরশিপের। পুজো কমিতিগুলোকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
ছবি সৌজন্যে-(চোরবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি)