কলকাতা ব্যুরো: দু লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে উত্তর প্রদেশের ১৩ বছরের কিশোরীকে কিনে নিয়ে গিয়ে রাজস্থানের গ্রামের বিয়ে করেছিলেন ৩০ বছরের এক যুবক। তারপর থেকে সেই মেয়ের উপর চলত সেই যুবক ও তার দাদার জৈবিক লালসা মেটানো। গত সাত মাস ধরে অত্যাচারিত হতে হতে কোনভাবে সেই কিশোরী যোগাযোগ করতে পারে চাইল্ড রাইটস কমিশনের সঙ্গে। তারপর তাদের হাত ধরেই কিশোরী পৌঁছে যায় একটি হোমে।
গত দুদিন আগে সেই হোম দেখতে গিয়ে রাজস্থানের শিশু অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য শৈলেন্দ্র পান্ডে মুখোমুখি হন সেই কিশোরী। তার কাছেই কিশোরী জানায় তার জীবনের করুন কাহিনী। পুলিশকে দ্রুত ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পাশাপাশি নারী পাচার চক্রের চাইদের গ্রেফতার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদতে উত্তরপ্রদেশের সনভদ্র এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী সেখানে বাবা-মা ও এক ভাই এবং দুই বোনের সঙ্গে থাকত। ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া সেই কিশোরীর প্রতিবেশী ছিলেন লক্ষী। তার বিয়ে হয়েছিল রাজস্থানের ভিলওয়ারা। লক্ষ্মী সেখান থেকে এই কিশোরীকে নিয়ে যান রাজস্থানে। ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে নিয়ে গিয়ে দু’লক্ষ ৭০ হাজার টাকা য় বিক্রি করে দেওয়া হয় বাসন্তী লালের কাছে।
টাকা দিয়ে ১৩ বছরের কিশোরীকে কিনে নিয়ে গিয়ে নিজের বাবরা গ্রামে লোকজনের সামনে ধুমধাম করে সেই ত্রিশের যুবক বিয়ে করে এই কিশোরীকে। আর তারপর থেকেই চলতে থাকে কিশোরীর উপরে অত্যাচার।
এই অবস্থায় গোটা চক্রকে ধরতে এবং পক্সো আইনে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকা বিবাহ নারী, পাচার এবং গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Previous Articleনয়া শিক্ষানীতির গুনগান মোদীর
Next Article শিকাগো বক্তৃতার ১২৫ বছর – কিছু কথা
Related Posts
Add A Comment