কলকাতা ব্যুরো: ‘বিষমদ’ কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে বিজেপি (BJP Protest Rally)। পুলিশ এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি (BJP Protest Rally)। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়ার পঞ্চাননতলা। শুক্রবার হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানার সামনে প্রতিবাদ সভার (BJP Protest Rally) ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির দাবি, ওই সভার জন্য পুলিশের অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাই কর্মসূচি বাতিল করেন শুভেন্দু।
এরপরই পুলিশ কমিশনারেটের কাছে মিছিল করে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। ওই মিছিলকে (BJP Protest Rally) নিয়ে তুমুল হইচই। পঞ্চাননতলায় বিজেপি মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। ক্ষোভে একের পর এক ব্যারিকেড ভাঙেন পদ্মশিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। তাতে বাধা দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর বাধ্য হয়ে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানার ঘুসুড়ি এলাকায় বহুদিন ধরেই মদের ঠেক চালান প্রতাপ কর্মকার নামে এক ব্যক্তি। সন্ধে হতেই সেখানে ভিড় জমান এলাকারই প্রচুর শ্রমিক। মঙ্গলবারও তার অন্যথা হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, সন্ধেয় ওই ঠেকে মদ খাওয়ার পরই বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অবস্থার অবনতি হয়। এদিকে একের পর এক বাড়তে থাকে অসুস্থের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়ার ঘুসুড়ি যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘুসুড়িতে মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃতদের বাড়িতে যান তিনি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিজেপি নেতাকে সামনে পেয়ে মদের ঠেক নিয়ে তাঁদের দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের পাশে থাকা আশ্বাস দেন সুকান্ত। ওই এলাকায় দাঁড়িয়েই বিষমদ ইস্যুতে রাজ্যকে তোপ দাগেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।